আবারো হাইব্রিড গণতন্ত্রের তালিকায় বাংলাদেশ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:২০ PM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২২, ০৮:৩০ PM
লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণতন্ত্র সূচক ২০২১ প্রকাশ করেছে। গতবারের মতো এবারও ‘হাইব্রিড রেজিম’ তালিকায় আছে বাংলাদেশ। তবে সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে।
‘হাইব্রিড রেজিম’ শাসনব্যবস্থার একটা চিত্র তুলে ধরেছে ইআইইউ৷ এগুলো হলো, নির্বাচনে অনেক অনিয়ম হয়, যা অনেকসময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা তৈরি করে৷ বিরোধী দল এবং প্রার্থীর ওপর সরকারি চাপ সাধারণ ঘটনা৷ দুর্নীতির মারাত্মক বিস্তৃতি ও দুর্বল আইনের শাসন৷ দুর্বল সুশীল সমাজ৷ সাধারণত সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপের মুখে থাকতে হয়৷ বিচারব্যবস্থাও স্বাধীন নয়৷
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে মাইগ্রেশনের দাবি
২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত এই সূচক প্রকাশ করছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট৷ এবার পাঁচটি মানদণ্ড অনুসরণ করে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে৷ এগুলো হলো নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, ফাংশনিং অফ গভর্নমেন্ট বা সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সিভিল লিবার্টিস বা নাগরিক অধিকার৷
বিভিন্ন দেশকে চার ধরনের শাসনব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসনব্যবস্থা এবং স্বৈরশাসন৷ ২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশকে হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসনব্যবস্থায় স্থান দেয়া হয়েছে৷ ২০২০ সালেও বাংলাদেশ এই শ্রেণিতে ছিল৷ তবে এবার একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ৷ তালিকায় এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫৷ ২০২০ সালে ছিল ৭৬৷ এছাড়া ২০১৯ সালে ৮০, ২০১৮ সালে ৮৮, ২০১৭ সালে ৯২ এবং ২০১৬ সালে ৮৪ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ৷
তালিকায় ভারত আছে ৪৬ নম্বরে (ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র), শ্রীলংকা ৬৭ (ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র), ভুটান ৮১ (হাইব্রিড রেজিম), নেপাল ১০১ (হাইব্রিড রেজিম) ও পাকিস্তান ১০৪ নম্বরে (হাইব্রিড রেজিম)৷
ইআইইউ বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বের মাত্র ৪৫.৭ শতাংশ মানুষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে ছিল৷ ২০২০ সালে সংখ্যাটা ছিল ৪৯.৪ শতাংশ৷ অর্থাৎ গণতন্ত্রের অবস্থা আরও দুর্বল হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ অন্যদিকে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার প্রতি সমর্থন বাড়ছে৷ সূচকে সবার উপরে আছে নরওয়ে (ছবিতে নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী)৷ জার্মানি আছে ১৫ নম্বরে৷ সবশেষে আছে উত্তর কোরিয়া (১৬৫), মিয়ানমার (১৬৬) ও আফগানিস্তান (১৬৭)৷
সূত্র- ডয়চে ভেলে বাংলা