সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্কুলছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু
- সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:১১ PM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:৩০ PM
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। আজ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় নলুয়ার ৮নং ওয়ার্ডের বোড় অফিস ভোট কেন্দ্রের বাইরে ও বাজালিয়ার বোড অফিস কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্র নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গুলি ও সংঘর্ষে অন্তত অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, তাসিব (১৩) ও আব্দুশ শুক্কুর (৪৫)। তাসিব নলুয়ার মরফলা বোর্ড অফিস এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে ও মেম্বার প্রার্থী মিজানুর রহমানের ভাতিজা ও শুক্কুর বাজালিয়ার নৌকা প্রার্থীক সমর্থক বলে জানা যায়। আহতদের মধ্য থেকে হাসপাতালে যাদের নাম পাওয়া গেছে, সোনাকানিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম চৌধুরী (৪৫) মিনহাজ (৩০), সেলিম উদ্দিন (৩৩), সারফিন (১৮), এহছান (২৪), আহমদ হক (৩২), রাকিব (২২), হাসান, পারভেজ ও আলাউদ্দিন।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
নিহত তাসিবের চাচা মিজানুর রহমান বলেন, কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট চলছিল। হঠাৎ দুপুরে নৌকা প্রার্থীর বহিরাগত লোকজন এসে পাশের দোকানে হামলা করে। এসময় তাদের দায়ের কুপে আমার ভাতিজা মারা যায়। সে আরএমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নলুয়ার ৮ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র ইনচার্জ এএসআই মো. আবদুল মতিন জানান, কেন্দ্রের বাইরে এক ছেলেকে কুপিয়েছে বলে শুনেছি। পরে ছেলে মারা গেছে বলে জানতে পারি। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে এখনো জানা যায়নি।
অপরদিকে কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিল, স্বতন্ত্র প্রার্থী, এজেন্টদের মারধর, গোলাগুলি ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সাতকানিয়ায় ১৬ ইউপিতে সকাল থেকে ভোট শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টায় বাজালিয়া বড়দুয়ারা ভোট কেন্দ্রে গেলে দেখা যায়, বেশকিছু ব্যালটে নৌকার সীল মারা রয়েছে। কেন্দ্রে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় সাময়িক ভোট স্থগিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সহসাই কেটে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা
বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এ কেন্দ্রে নৌকার লোকজন আমার এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেন।
সাতকানিয়া থানার এসআই মাহবুবুল আলম বলেন, বাজালিয়ায় ভোট কেন্দ্রে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরে আহত একজনকে কেরানীহাটের মা শিশু জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।