মুরাদ ও নাহিদের বিরুদ্ধে সারাদেশে ৯ মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৩৩ PM , আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:০৫ PM
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৯টি মামলা হয়েছে। আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত হাইকোর্ট ও বিভিন্ন জেলা শহরের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রথম একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন
এরপর গতকাল রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় মুরাদ ও নাহিদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৫টি মামলার আবেদন করা হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এই আবেদনগুলো করেন।
আরও পড়ুন: ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও যুক্তরাজ্যে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে ফেসবুক লাইভে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল বক্তব্যের অভিযোগ তোলা হয় এসব আবেদনে।
আরও পড়ুন: আইনি পদক্ষেপ শুরুর মধ্যেই দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুরাদ
পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আজও ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ ও বরিশালে একাধিক মামলার আবেদন করা হয়েছে।
এর মধ্যে আজকে রাজশাহী ও ঢাকার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে বাকি মামলাগুলো শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামেও মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে ফেসবুকের এক পেজ থেকে লাইভে যুক্ত হয়ে তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। লাইভটি সঞ্চালনা করেন নাহিদ।
আরও পড়ুন: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্রাব করার টাইমও আমার নেই’
এরপর ৫ ডিসেম্বর ‘অনলাইনে রাজনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে’ শিরোনামে একই পেজ থেকে আরেকটি লাইভ অনুষ্ঠানে এসে ডা. মুরাদ ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদের নিয়ে তারা হোটেলে হোটেলে ঘুমাতেন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েও আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন। ওইদিনই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর সঙ্গে অশ্লীল একটি ফোনালাপের রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ‘ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা আর রোকেয়া-শামসুন নাহার হলে থাকা কি এক কথা’
এভাবে একের পর এক বির্তকিত ঘটনায় সমালোচনার তুঙ্গে ছিলেন ডা. মুরাদ। সেইসঙ্গে মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগের দাবি উঠে তারই দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু হওয়ার আগেই ৯ ডিসেম্বর তিনি কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: ডা. মুরাদকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যনির্বাহী সভায়
কিন্তু কানাডার পর আমিরাতেও ঢুকতে না পেরে ডা. মুরাদ দেশে ফিরেছেন গত ১২ ডিসেম্বর। একই দিনে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।