মুরাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৫৩ AM , আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:২২ PM
বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে সদ্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে ‘অশ্রাব্য’ মন্তব্য করায় এ মামলার আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী।
আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের সেরেস্তায় এ মামলার আবেদন করা হয়। মামলার বিষয়ে আগামীকাল সোমবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।
এর আগে, শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্রাব করার টাইমও আমার নেই’
তিনি বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হবে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের নেতৃত্বে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার মামলাটি দায়ের করবেন। এছাড়া খুলনা ও রংপুর বিভাগ বাদে সব বিভাগে বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও মামলা দায়ের করা হবে।
সম্প্রতি নারীর প্রতি অশ্লীল মন্তব্য করে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান।
আরও পড়ুন: দেশ ছেড়েছেন ডা. মুরাদ
ফেসবুকে এক লাইভ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়েকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।
এরপরই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়। সেখানে মাহির সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন তিনি। এমনকি মাহিকে ধর্ষণ এবং উঠিয়ে আনার হুমকি দেন। সে সময় চিত্রনায়িকাকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। তখন ফোনে চিত্রনায়ক ইমনকে প্রতিমন্ত্রী বলছিলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: কানাডায় ঢুকতে পারলেন না ডা. মুরাদ
সেই অডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মুরাদ হাসান। পরে তাকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ৭ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। ওইদিন রাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।