স্বামী ও ছেলের নামে উপবৃত্তির টাকা তুলছেন প্রধান শিক্ষক!

গৌড়মহন হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
গৌড়মহন হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  © সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে স্বামী ও ছেলেকে অভিভাবক বানিয়ে ৯ শিক্ষার্থীর নামে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের গৌড়মহন হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাইলি বেগমের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে  উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবকরা। 

জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাইলি বেগম তার স্বামী জয়নাল আবেদিনকে ও তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে জাবিরকে শিক্ষার্থীদের বাবা, ভাই আবার কখনো চাচা সাজিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা জালিয়াতি করে উঠিয়েছেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে উপবৃত্তির ভুয়া মেসেজ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তালিকায় দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের স্থলে প্রধান শিক্ষকের স্বামী জয়নালের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আর একই শ্রেণির ছয় শিক্ষার্থী অভিভাবক হিসেবে তার ছেলে জাবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে উধাও হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, যেসব শিক্ষার্থীর নাম ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে সেসব নামে কোনও শিক্ষার্থী ওই স্কুলের সংশ্লিষ্ট শ্রেণিতে নেই। লাইলি বেগমের স্বামী জয়নাল বলেন, উপবৃত্তির এ তালিকায় কেন তার নাম ও ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তা তার জানা নেই। এ বিষয়ে ম্যাডাম (প্রধান শিক্ষক) বিস্তারিত বলতে পারবেন।

আরও পড়ুন: উপবৃত্তির টাকা তুলতে ক্যাশ আউট চার্জ নেয়া যাবে না

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লাইলি বেগম বলেন, ওই নয় শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল ফোন নম্বর না থাকায় তিনি উপবৃত্তির তালিকায় তার স্বামী ও ছেলের নাম ফোন নাম্বর ব্যবহার করেছেন। উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করে ওই শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

চিলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ সরকার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু তা সঠিক কিনা তা এখনও যাচাই করা সম্ভব হয়নি। 

 


সর্বশেষ সংবাদ