এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিতে অনড় অবস্থানে সরকার

চলতি বছর কোনো পাবলিক পরীক্ষায় অটোপাস দেওয়া হবে না
চলতি বছর কোনো পাবলিক পরীক্ষায় অটোপাস দেওয়া হবে না  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনও বাড়তির দিকে থাকলেও এবার এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অটোপাস না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় সরকার। চলতি বছরের মধ্যেই এ পরীক্ষা নিতে চায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। এজন্য করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতবছর অটোপাস দেওয়া হলেও এবার সে পথে যেতে চায় না শিক্ষা বোর্ডগুলো।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, এ বছর এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা না নিয়ে গ্রেড পয়েন্ট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর বিশেষ পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বলেও জানান তিনি।

প্রফেসর নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়া হলে পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব। আমরা এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করব। এরপর এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে।’ তবে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১ ফেব্রুয়ারি। আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সাধারণত নেওয়া হয় ১ এপ্রিল থেকে। তবে করোনার কারণে গত বছর থেকে সব শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন এ দুটি পাবলিক পরীক্ষার লাখ লাখ শিক্ষার্থী কখন কী প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা দিতে পারবে তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে।

জুনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর প্রায় ২২ লাখ এসএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া ১৫ লাখ এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এ পরীক্ষার আগে এসএসসির জন্য ৬০ দিনের ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আরও ১৫ দিন পর পরীক্ষা হবে। এইচএসসির ক্ষেত্রেও ৮০দিন ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, পরীক্ষা না দিয়ে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল এবার প্রস্তুত করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠক্রম সরবরাহ করেছি। স্কুল-কলেজ পুনরায় চালু হলে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ ও ৮০ দিন ক্লাস হবে।’ তবে স্কুল ও কলেজ চালুর বিষয়টি করোনা মহামারীর ওপর নির্ভরশীল বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ