সাংবাদিকদের মনে ভয় ঢোকাতেই রোজিনাকে হেনস্তা: নুর

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের মানববন্ধন
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ। আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) বেলা ৩টার দিকে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কর্মসূচীতে পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘অন্য সাংবাদিকদের মনে ভয় ঢোকাতেই রোজিনাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এ সময় সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতারের পর সাংবাদিক নেতাদের ভূমিকার সমালোচনা করে নুর বলেন, ‘কয়জন সাংবাদিক নেতা রোজিনার মুক্তির জন্য সোচ্চার হয়েছেন? দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকার একজন সিনিয়র সাংবাদিককে সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্থা করে এইভাবে মামলা দেওয়া হলো, কয়জন সাংবাদিক নেতা থানায় এসেছেন? প্রতিবাদ করেছেন?’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের বলবো দলদাস, দলাকানা দালালদেরকে আপনাদের নেতা বানাবেন না। ওরা আপনাদের স্বার্থ বিক্রি করে, যেমনিভাবে বিক্রি করেছে সাগর-রুনি হত্যার ন্যায় বিচার।

সাংবাদিকদের সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করে স্বাধীন গণমাধ্যম ও মুক্ত সাংবাদিকতা পরিপন্থী বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি সাংবাদিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সোচ্চার অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন।

এ ছাড়া রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবি জানান নুর। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে মুক্ত সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা দূর করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের প্রতিও আহবান জানান নুরুল হক।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যেভাবে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি তুলে ধরেছেন সেজন্য তাকে আটক না করে বরং স্বাধীনতা পদক দেয়া উচিৎ। আমরা রোজিনা ইসলামের দ্রুত মুক্তি চাই।’

ছাত্র পরিষদে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে কেউ নিরাপদ নয়। সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী যারাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে লেখালেখি করে তাদেরই হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে আটক করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যারা তার নির্যাতনের সাথে যুক্ত তাদের বিচারে আওতায় আনার দাবি জানায় এবং অবিলম্বে মুক্তি চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ। অন্যথায় স্বাধীন গণমাধ্যম গড়ে তোলার দাবিতে এবং সাংবাদিক হেনস্তা বন্ধ করতে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মঞ্জুর মোর্শেদ, শ্রমিক পরিষদের আহবায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্য সচিব আরিফ হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।


সর্বশেষ সংবাদ