কুয়াশা আর শীতে বিপাকে উত্তরের জেলা গাইবান্ধা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার জনজীবন। ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে জেলার সড়ক ও জনপথ, সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে নদী ও চরাঞ্চলের মানুষের জন্য শীত টিকে থাকার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) গাইবান্ধায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে, ফলে সড়কে যান চলাচলও ধীরগতির ছিল।

টানা কুয়াশা ও তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে বের হতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।

গাইবান্ধা পৌরসভার বাসিন্দা নিলয় বিশ্বাস বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। নদীর পাশ দিয়ে হিমেল বাতাস বইতে থাকায় সেখানে অবস্থান করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে শীতের প্রভাবে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে পড়ছেন। তারা গরম কাপড় পরা, উষ্ণ খাবার খাওয়া এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডা. সোহেল জানান, শীতের সময় শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। গরম কাপড় ব্যবহার, ঠান্ডা ও বাসি খাবার এড়িয়ে চলা এবং ঠান্ডাজনিত উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজ জানান, গাইবান্ধায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আগামী কয়েকদিন শীত ও কুয়াশার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!