৪০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে দেশের সব থেকে বড় গ্লোব তৈরি

  © সংগৃহীত

‘পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ, স্বেচ্ছাসেবকতায় শক্তি’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে চার শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকের উপস্থিতিতে উপকূলীয় বরগুনায় শুরু হয়েছে বরিশাল বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন।

এ সম্মেলনের মাধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ তথ্য উপস্থাপন করতে শিক্ষার্থীদের জন্য বরগুনা সরকারি কলেজে বাংলাদেশের সব থেকে বড় গ্লোব এবং বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে বরগুনা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে  সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল।

বরগুনা জেলা রোভার স্কাউটসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিক বিন আনসারি সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাগোনারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাগোনারীর সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিনা হোসেন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ, পটুয়াখালীর সাবেক জেলা জজ রোখসানা পারভীন, জেলা রোভার স্কাউটসের সহসভাপতি লুৎফর রহমান।

সম্মেলনের প্রথম দিন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কিত ক্যাম্প, জলবায়ু ও প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে বিভিন্ন স্ট্যাচু প্রদর্শনসহ ধর্ষণবিরোধী স্লোগান ও শিশু আছিয়ার ধর্ষকদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে বরগুনা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতির শপথের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।

উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারীর বাস্তবায়নে ও অক্সফামের সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও চারুকলা বরিশাল কারিগরি সহযোগিতা করছেন।

উদ্যোক্তারা জানান, ফেব্রুয়ারিতে বরগুনার তালতলী উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে তিন দিনব্যাপী স্বেচ্ছাসেবক অ্যাডভান্স সার্ভাইভাল প্রশিক্ষণের পর স্বেচ্ছাসেবকদের কার্যক্রম প্রদর্শন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে এ মহামিলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে বিভিন্ন সেক্টরের অভিজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বরগুনা জেলাসহ বরিশাল বিভাগের সব জেলা থেকে মোট ৪০০ জন অংশগ্রহণ করে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন।

এ বিষয় জাগোনারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি বলেন, এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সম্ভব হচ্ছে। যা মানবসেবার ক্ষেত্রে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করাসহ সার্বিকভাবে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে মানুষকে আগ্রহী করছে। একই সঙ্গে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত হতে সহায়ক হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ