দেশে দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক রহমান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৫ AM
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। তারা নানান দাবি-দাওয়ার নামে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের মূলে থাকা ব্যক্তি পালিয়ে গেলেও কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তারা বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আবার দেশকে দখলের চেষ্টা করছেন তারা। তাদেরকে এই লক্ষ্য হাসিল করতে দেয়া হবে না। এজন্য যেকোনো মূল্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে মতপার্থ্যক্য থাকতেই পারে। আলোচনা মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করা হবে। বড় দল হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়িত্ব অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় একমাত্র বিএনপিই মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশকে গড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, অচল কলকারখানা সচল করতে হবে। আমাদের অসংখ্য নদনদী খাল ভরাট হয়ে গেছে, এগুলো খনন করতে হবে। আগামী দিনে সংসদের মেয়াদ কত হবে, সংখ্যা কত হবে– গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই বিতর্ক থাকতেই পারে। দিনশেষে আমরা এগুলো জনগণের ওপর ছেড়ে দেব। এই নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বিতর্ক রাষ্ট্র মেরামতের কাজকে বিঘ্নিত করবে। তবে এর একমাত্র সহজ উপায় জাতীয় নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে এর ফয়সালা হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। জবাবদিহি ছিল না। অস্ত্রের মুখে সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা ডামি নির্বাচন, ভোটারবিহীন নির্বাচন, ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখেছি। উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। বিএনপির কর্মী হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. বরকত উল্লাহ বুলু। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, মোস্তাক আহম্মেদ, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন শ্যামল, সায়েদুল হক সাইদ, শেখ মো. শামীম, সালাউদ্দিন শিশির, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, মো. জহিরুল হক খান, মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মো. কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
এ সম্মেলন ঘিরে জেলা বিএনপি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গত ২৮ ডিসেম্বর ও ১৮ জানুয়ারি দুই দফা তারিখ নির্ধারণ করেও সম্মেলন করা যায়নি। পরে আজকের সম্মেলনে উভয় গ্রুপের উপস্থিতি দেখা গেছে।