বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল

মতনিবিময় সভায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মতনিবিময় সভায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিবাদের হোতা শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত প্রচারণা চালাচ্ছে, যা বড় বিপদের কারণ। বাংলাদেশের এই অর্জনকে সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এ জন্য দেশের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

আজ বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের তাঁতীপাড়ার নিজ বাসভবনে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতনিবিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ফেসবুক দেখি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি ইলিটারেটর। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে যে ফেসবুক দিয়ে ভালো কাজও সম্ভব, ভয়ংকর কাজও সম্ভব। বর্তমানে সেখানে গুজব ছড়ানোর প্রবণতা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের যে অর্জন সেই অর্জনকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কিছু ব্যক্তি চেষ্টা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার জাতিটাকে বিভক্ত করে ফেলেছে। সেই বিভক্তিটা দূর করে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। মতাদর্শ ভিন্ন থাকতে পারে, সেটি ভিন্ন কথা। দেশের মানুষের এ বিষয়ে খেয়াল থাকতে হবে। সেই ঐক্যটা আমরা রাখতে চেষ্টা করেছি এবং সফল হয়েছি। জাতি হিসেবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না। ১৭ বছরে যে ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে সেটা সরাতে একটু সময় লাগবে। এ জন্য একটু সময় দিতে হবে। বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে তাদের প্রতিটি সেক্টরে হাত দেওয়ার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি না। নির্বাচিত সরকার এলে তারা এই সংস্কার করবে।’

আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিবাদ যাতে আবারও ফিরতে না পারে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো অবাধ নিরপেক্ষ একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন। এই সরকারের প্রধান কাজ হবে, নির্বাচনের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়ে তোলা।

সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার তাগিদ দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। আমাদের চিঠি দিয়েছে, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। সবচেয়ে বড় বিষয় অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে যে, পরিবেশে সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের একটা পার্লামেন্ট তৈরি হবে। সংস্কার আমরাও চাই। আমরা মানুষের ওপর যাতে অন্যায় অত্যাচার না হয়, সে অবস্থায় দেখতে চাই। এখানে আর যেন শিশুদের ওপর গুলি করে হত্যা করা না হয়। যে কাজগুলো একটি সুন্দর, সন্ত্রাসবিহীন ভবিষ্যৎ জন্ম নেয়।’

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা পালালেও তার দোসররা ঘাঁপটি মেরে আছে: মির্জা ফখরুল

উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে ওঠা সমালোচনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নিজস্ব এখতিয়ারে কাজের সুবিধার্থে উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন। তবে সেক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তারা যেন বিতর্কিত না হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুরসহ জেলা বিএনপির নেতারা।


সর্বশেষ সংবাদ