তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে তিন রিভিউ আবেদনের শুনানি পেছাল

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট  © ফাইল ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা বা রিভিউয়ের তিনটি আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির এই তারিখ ধার্য করেন। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বিশিষ্টজনরা এ আবেদন করেন।

এর আগে বুধবার সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে জামায়াত। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ আবেদন করেন। গত ১৬ অক্টোবর রিভিউ আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ আবেদন করেন তিনি। গত ২৭ আগস্ট সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারও আলাদা রিভিউ আবেদন করেন।

সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয় ১৯৯৬ সালে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট এ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন: নিষিদ্ধ ঘোষণার পর রাতেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। আপিল মঞ্জুর করে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। তবে ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। তবে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তা আর রাখা হয়নি।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ কিছু বিষয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছিল।


সর্বশেষ সংবাদ