ঝালকাঠিতে শিক্ষা ভবনে সৌন্দর্যের নামে গাছ কর্তন

শিক্ষা ভবনে গাছ কাটার আগের ছবি ও গাছ কাটার পরের ছবি।
শিক্ষা ভবনে গাছ কাটার আগের ছবি ও গাছ কাটার পরের ছবি।  © টিডিসি

ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা ভবনের মাঝখানের স্থানটি ফাঁকা। এ ফাঁকা জায়গায় সৌন্দর্যবর্ধন ও অক্সিজেন পেতে চারটি পামগাছ রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু একজন শিক্ষা প্রকৌশলী কর্মকর্তা কোনো ধরনের অফিসিয়াল প্রক্রিয়া না মেনেই গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। সেখানে এমনভাবে ফ্লোর টাইলস লাগানো হয়েছে, যা দেখলে কবর বলেই মনে হচ্ছে। অনেকে আবার ট্রোল করে শিক্ষা মাজার/শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাজার/শিক্ষা অফিসের মাজারসহ নানা বিশেষণ দিচ্ছেন।

জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা ভবনে জেলা শিক্ষা অফিসের অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালিত হয় তিনতলা ভবনের দুই তলায়। নিচতলায় রয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যদের দফতর। মাঝখানে ফাঁকা রেখে চারদিকে বর্গাকৃতির ভবনটি নির্মাণ করা হয়। মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় সৌন্দর্যবর্ধন ও অক্সিজেন সরবরাহ পেতে চারটি পামগাছরে চারা রোপণ করা হয়েছিল। গাছ চারটি বেশ বড় হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা কোনো ধরনের অফিসিয়াল প্রক্রিয়া না মেনেই গাছ চারটি কেটে ফেলেন।

শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জেলা শিক্ষা ভবনের চারটি পামগাছ ছিল। সেগুলো খুবই সুন্দর দেখাত। কিন্তু গাছগুলো কেটে ফেলে সেখানে এমনভাবে টাইলস লাগানো হয়েছে যার কোনো প্রয়োজনই ছিল না।

অনেকে বলেন, এখন তো নিয়ন্ত্রণকারী কোনো দলীয় সরকার নেই। সে সুযোগে কারও কাছে কিছু না জানিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ভাসমান আমড়ার হাট, দেশের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিদেশে

জেলা শিক্ষা অফিসার সুনীল চন্দ্র সেন বলেন, ‘পূজার ছুটিতে আমি বাড়িতে যাওয়ার ফাঁকে চারটি পামগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে ফ্লোর টাইলস লাগানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ঝালকাঠি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন, ‘ছোট গাছ কেটেছি তাতেও সভা ডেকে গাছ কাটার পারমিশন নিতে হবে? ভেতরে যা করেছি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যই করেছি।’ ‘আপনি যেভাবে পারেন লিখে দেন’ বলে দাম্ভিকতা প্রকাশ করে ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ