আদম তমিজীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ যাচ্ছে আওয়ামী লীগের দপ্তরে
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৩ PM , আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৪ PM
লাইভে এসে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কথাবার্তা ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় আদম তমিজী হককে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার প্রস্তাব পাঠাতে যাচ্ছে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি। তিনি নিজেও এই কমিটির সদস্য।
রোববার রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা জানান ।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির বাসায় এক বৈঠকে তমিজীকে বহিষ্কারের বিষয়ে মত দেন নেতারা।
উক্ত কমিটির সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, “আমাদের সাধারণ সম্পাদক কাদের ভাই (ওবায়দুল কাদের) সিঙ্গাপুরে আছেন। কালই আমরা স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাব।”
তিনি বলেন, “কার সঙ্গে কার কী সমস্যা হয়েছে, এটা আমরা জানি না। কিন্তু তার ভিডিওটি আমাদের যথেষ্ট বিব্রত করেছে। তিনি শুধু দলীয় বিষয়ে বলেছেন সেটা নয়, তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের বিষয়ে অনেক নেতিবাচক কথা বলেছেন। এটা একটা গর্হিত কাজ।"
মান্নান কচি বলেন, " যদি পাসপোর্ট পুড়িয়ে থাকেন, তাহলে সেটা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ হয়েছে। এটার অপমান করলে অবশ্যই দেশকে অপমান করা হয়।"
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ফেইসবুকে তমিজীর পাসপোর্ট পোড়ানোর ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমার এক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম।”
হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হক এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীতে তার মালিকাধীন হক গ্রুপের কারখানা দখলের অভিযোগ তুলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে নিয়ে ফেইসবুকে একটি পোস্ট করেন।
সেখানে তিনি লেখেন, “আমি ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।”
এরপর আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওয়ানা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল এবং তার চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।”
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল জানান, তমিজীর আনা অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। নির্বাচন সামনে রেখে তার বিরুদ্ধে এটি একটি ‘চক্রান্ত’।