মির্জা ফখরুলের বক্তব্য গুজব ও ষড়যন্ত্রের অংশ: বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  © ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে অসৌজন্যমূলক, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে এতে বলা হয়েছে, এই ধরণের মন্তব্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত, বিদ্বেষপূর্ণ— যা শিক্ষাঙ্গন নিয়ে ধারাবাহিক অপপ্রচার, গুজব ও ষড়যন্ত্রের অংশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। গত ১৩ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া বক্তব্য "আমি মনে করি দেশের যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি আছেন, কারও কোনো যোগ্যতা নেই" এর প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি দেশের অগ্রসরমান শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে নৈরাজ্যকর ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার পায়তারা। এই ধরণের উদ্দেশ্য প্রনোদিত মন্তব্যে বাংলাদেশের বিদ্বৎসমাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছেন ও তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আরও পড়ুনঃ মির্জা ফখরুলকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন শাবিপ্রবি উপাচার্য

মির্জা আলমগীরের দেয়া বক্তব্য জ্ঞানবহির্ভূত ও অবিবেচনাপ্রসূত বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই মন্তব্যের কোনো ভিত্তি ও গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ ধরণের যুক্তিহীন ও বাস্তবতা বিবর্জিত মন্তব্যের মাধ্যমে প্রকারান্তরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতাত্তোর সম্মানিত শিক্ষকদের অপমানিত করেছেন এবং এই বক্তব্যের মাধ্যমে তার পাকিস্তানপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অধ্যাদেশের ধারা অনুসরণপূর্বক প্রথিতযশা ও মেধাবী শিক্ষাবিদদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর নিয়োগ দেয়া হয় উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভাইস-চ্যান্সেলরদের সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যখন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গবেষণার পরিধি বেড়েছে এবং উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অংশীদারীত্বের পরিচয় দিচ্ছে তখনই তার এই ধরণের অমূলক মন্তব্য রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী ও সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বলে সচেতন মানুষ মনে করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দায়িত্ব জ্ঞানহীন এহেন মন্তব্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করাই মির্জা ফখরুলের মূল লক্ষ্য। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে  মির্জা ফখরুলের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। নতুবা তিনি ইতিহাসে কলঙ্কিত হয়ে থাকবেন।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!