ইউজিসির অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা শিক্ষকদের প্রতি জুলুম, প্রত্যাহার দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০৬:১৫ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ০৬:২৩ PM
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অভিন্ন আর্থিক নীতিমালাকে শিক্ষকদের জন্য জুলুম হিসেবে মন্তব্য করেছেন (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন। অভিন্ন আর্থিক নীতিমালার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মাহবুবুল হাকিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সদস্যরা ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত ‘অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল’ প্রতিপালনের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান এবং ১ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে পিএইচডি ইনক্রিমেন্ট বাস্তবায়নের দাবি জানান।
মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় যেন মেধাবীরা আসতে না পারে এজন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিকাশের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা যদি মনে করে এখানে ক্ষমতা নেই, ঐক্য নেই, জীবনের কোনো জৌলুস নেই তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুখ থুবড়ে পড়বে, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হবে।
আরো পড়ুন: জাবির ‘ডি’ ইউনিটে মেয়ে শিফটের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৫১%
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবীর হোসেন বলেন, ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল চাপিয়ে দেওয়ায় শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এটির মাধ্যমে শিক্ষকের ওপর জুলুম ও অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এ নীতি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি, অন্যথায় শিক্ষকরা মাঠে নামলে কেউ থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখন আমলাতান্ত্রিক রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমলারা এখন শিক্ষকদের শাসন করতে চায়। এ বছর জাতীয় নির্বাচন, তবে একটি মহল নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ইউজিসি বারবার শিক্ষকদের ওপর অন্যায়ভাবে যেকোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রীতি অভিন্ন আর্থিক নীতিমালার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছ তা সারা দেশের শিক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন-প্রধানসহ প্রায় ২০০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।