হিরো আলমকে নিয়ে কাদের-ফখরুলের কথার লড়াই

মির্জা ফখরুল, হিরো আলম ও ওবায়দুল কাদের
মির্জা ফখরুল, হিরো আলম ও ওবায়দুল কাদের  © সংগৃহীত

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। বগুড়া–৬ আসনে তেমন সুবিধা না করতে পারলেও বগুড়া–৪–এ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ওই আসনের বেশ কিছু কেন্দ্রে বেশি ভোট পেয়েও শেষ পর্যন্ত মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে যান হিরো আলম।

নির্বাচনে হেরে গিয়ে হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখে এর কোনো সত্যতা মেলেনি বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।

এদিকে হিরো আলমের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ও হেরে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে দেশের শীর্ষ দুই রাজনীতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি শিবিরে। এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে কথার তীর ছুড়ছেন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে নির্বাচনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এসময় বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছেও অসহায়। আজকে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে পরাজিত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন ব্যাক্তিকে জেতাতে নিজেদের প্রার্থীকে গুম করা হয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতি।’

অন্যদিকে, জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বিএনপি মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীর চড়ে এক জনসভায় তিনি এ দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বললেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল তাঁর। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।’