২৩ মার্চ শুরু হতে পারে রমজান, ঈদ ২১ এপ্রিল

২৩ মার্চ শুরু হতে পারে রমজান, ঈদ ২১ এপ্রিল
২৩ মার্চ শুরু হতে পারে রমজান, ঈদ ২১ এপ্রিল  © সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু হবে তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। মুসলিমরা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টিলাভের আশায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করেন। রমজান শেষে শাওয়াল মাসের প্রথমদিন উদযাপিত হয় মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২৩ সালে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে। এ বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ২৩ মার্চ।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জাতীয় দৈনিক খালিজ টাইমস।

খালিজ টাইমস জানিয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের প্রতিষ্ঠান এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি হিসেব-নিকেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে রমজান মাস শুরু হতে পারে। আর এবার রমজান মাস ২৯ দিনে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসেব অনুযায়ী আগামী ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে।

সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বলেছেন, এ বছর আমিরাতি রোজাদাররা দিনে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পানাহার থেকে বিরত থাকবেন। তিনি বলেন, ‘রমজানের শুরুতে মানুষ ১৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট রোজা রাখবে। কিন্তু পবিত্র মাসের শেষের দিকে রোজা প্রায় ১৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট স্থায়ী হবে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণত ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকে ২৯ রমজান থেকে ৩ শাওয়াল পর্যন্ত। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে এ বছর সেটি আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত থাকতে পারে।

এদিন শুধু রমজান ও ঈদুল ফিতরই নয়, ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিনক্ষণও জানিয়েছেন আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।

তার মতে, এ বছর আরবি জ্বিলহজ্জ মাসের প্রথম দিন হতে পারে ১৯ জুন, সোমবার। সেক্ষেত্রে আরাফাতের দিন হবে ২৭ জুন এবং ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ২৮ জুন। সেই মোতাবেক, আমিরাতে কোরবানির ঈদের ছুটি থাকতে পারে ২৭ জুন থেকে ৩০ পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: কেউ চাকরি না পেয়ে হতাশ, কেউ আত্মহত্যার পরে পেয়েছেন চাকরির খবর

আরবি মাসের শুরু ও শেষ সাধারণত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে আরবি মাসের শুরুর বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত পূর্বাভাস দেওয়া যায় না।

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে দিন, মাস ও বছর গণনার দুটি পদ্ধতি রয়েছে-সৌর পদ্ধতি ও চান্দ্র পদ্ধতি। সূর্যের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে তৈরি পঞ্জিকাকে বলা হয় সৌর পঞ্জিকা এবং চাঁদের গতিবিধি হিসেব করে তৈরি পঞ্জিকাকে বলা হয় চান্দ্র পঞ্জিকা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ সৌর পঞ্জিকা অনুসরণ করলেও মধ্যপ্রাচ্যের আরবি ভাষা-ভাষী দেশগুলো চান্দ্র পঞ্জিকা মেনে চলে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence