যাদের গুলিতে প্রীতি মারা গেছে তাদের মনটা খুব খারাপ

ফেসবুক পোস্ট
ফেসবুক পোস্ট   © ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

সম্প্রতি রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও সামিয়া আরেফিন প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হয়। প্রীতি সরকারি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী।

দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি চালালে সড়কে থাকা রিকশারোহী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়েছে। দেশের সার্বিক বিচার ব্যবস্থা নিয়েও অনেকে নানান প্রশ্ন তুলেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দোষীদের গ্রেফতারে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানায় র‍্যাব।

এ সমালোচনা আরও ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে নিহত প্রীতির বাবার গণমাধ্যমে মন্তব্যের মধ্য দিয়ে। গণমাধ্যমে মেয়ের মরদেহ নেওয়ার সময় তিনি জানান, আমার মেয়ে প্রীতি হত্যায় কোন মামলা করবো না। আমরা কখনো মামলায় জড়াই নাই। আমরা নিরীহ-সাধারণ মানুষ।

তিনি আরও জানান, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সাধারণ জীবনযাপন করি। বিচার চেয়েই বা কী হবে? বাংলাদেশে তো বিচার নাই। বিচার কার কাছে চাব, বলেন? সন্তানের কাছেই বাবার বিচার থাকে না। আর এ তো প্রশাসন। আমি নিরীহ মানুষ নিরীহভাবেই থাকতে চাই, ঝামেলায় জড়াতে চাই না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্যাম্পাসিয়ান পেইজে এ নিয়ে একটি মতামত তুলে ধরা হয়েছে। ক্যাপশনে দেওয়া রয়েছে ‘Quazi Sabbir’। পোস্টটি ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ নিয়ে অনেকে নিজের মতামত জানিয়েছেন।

বিলাসী বিন্দু নামে একজন জানিয়েছেন, ‘একটা দেশ কি পরিমাণ বিচারহীন হলে বাবা মেয়ে হত্যার বিচার চাই না!’

আরও পড়ুন : মামলা করবে না প্রীতির পরিবার, বললেন ‘বিচার কার কাছে চাইবো?’

কমলা ফুলি নামে একজন লিখেছেন, এদেশে বিচার থাকলে খুনি ধরা পরত এত সময়।

ওই পোস্টটিতে বলা হয়েছে, ‘সামিয়া যাদের গুলিতে মারা গেছে তাদের মনটা খুব খারাপ। তবে শুরুতে যখন জানতে পেরেছিল যে সামিয়া মারা গেছে তখন অনেক খুশি হয়েছিল। যদিও ওরা গিয়েছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মারতে, বোনাস হিসেবে সামিয়া মারা যাওয়াতে ভেবেছিল 'এইবার আমাদের 'ভাইরাল' হওয়া কে আটকায়? আমাদের 'কাজ' নিয়ে ফেসবুক গরম থাকবে ভাবতেই তো কেমন লাগে!’

এতে আরও বলা হয়, ‘নাহ এর কিছুই হয় নাই! ২২ বছরের সামিয়া কোন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল না তাই রাস্তাও আটকায় নাই কেউ। সাধারণ একটা মেয়ে যে সাধারণ একটা জীবনযাপন করতো। খালি একটা ভুল করেছিল সে, বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা করে বন্ধুর বাসায় যাচ্ছিল। এই অমার্জনীয় অপরাধের শাস্তি হওয়াই উচিৎ।

পোস্টটিতে আরও জানানো হয়, ‘একদিক দিয়ে অবশ্য ভালই হয়েছে। বাসার সামনে কুকুরগুলোকে খাবার দিত সামিয়া, এটা নিয়ে অনেকের অভিযোগও ছিল। কেউ আর সামিয়াকে নিয়ে অভিযোগ করবে না। ওহ আরেকটা ভাল ব্যাপার হয়েছে, সামিয়ার বাবা বলেছেন তিনি বিচার চান না। বুদ্ধিমান আর ভাল মানুষ! নিজেরসহ কত মানুষের সময় বাঁচিয়ে দিলেন।’


সর্বশেষ সংবাদ