করোনা মোকাবেলায় নিজ নিজ উপজেলাতে যা করা দরকার
- আব্দুল মান্নান
- প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৩১ AM , আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৪৬ AM
বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ ।এই ভাইরাসের আক্রমণে প্রতিনিয়ত প্রাণহানি ঘটছে হাজার হাজার মানুষের।দেশে দেশে চলছে লক ডাউন কর্মসূচি। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। স্থবির হয়ে পড়ছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রার মান। তবে এই পরিস্থিতি কতদিন পর্যন্ত চলবে সেটি উদ্বিগ্ন সবাই। সরকারের পক্ষ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার জন্য বারবার পরামর্শ দেয়া হলেও অনেকে তা মানছেন না।
কোয়ারেন্টাইন ভেঙ্গে বাড়ির বাহিরে চলে আসছেন অনেকে। হাসপাতাল গুলোতেও কমে গেছে অন্যান্য রোগীর সংখ্যা। বিপদে পড়ে কালেভদ্রে হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে আসলেও মিলছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা। ফলে জনমনে তৈরি হচ্ছে আতংক। অন্যদিকে কল-কারখানা চালু না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের আর দিন-মজুর বা শ্রমজীবি মানুষদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।সরকারিভাবে গরীব-অসহায়দের ত্রাণ দেয়া হলেও বঞ্চিত রয়েছেন নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা। ফলে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতে হচ্ছে এই শ্রেণীর মানুষদের।
এছাড়া কিছু লোভী ব্যক্তির স্বার্থন্বেষী এবং অসাধু আচরণের জন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে সরকারকেও। এসব সমস্যা মোকাবেলা করে করোনাভাইরাস রুখতে উপজেলা পর্যায়ে আমারা যা করা যেতে পারে সে বিষয়ে আমার একান্ত কিছু ব্যক্তিগত মতামত সবার জ্ঞাতার্থে তুলে ধরছি।
আমাদের করনীয়…
১। ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য হালনাগাদ করণ (মেম্বার এ কাজ করবেন )
২। ওয়ার্ড ভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করণ (ভ্যান/রিক্সা)
৩। ইউনিয়ন ভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠণ (চেয়ারম্যান, চৌকিদার ও প্রশাসন)
৪। ওষধের দোকান ব্যাতীত বাজার পুরোপুরি বন্ধ রাখা
৫। ইউনিয়ন ভিত্তিক হটলাইন নাম্বার (খাদ্য, চিকিৎসা, অভিযোগ)
৬। পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুসারে বাড়িতে ৭ দিনের খাদ্য সরবরাহ (স্বেচ্ছাসেবক ও সেনাবাহিনী)
৭। জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ৩ টি অটোরিক্সা/ভ্যান/মাইক্রোবাস/এম্বুলেন্স চালু রাখা
৮। নির্দেশ অমান্যকারীদের জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা
৯। ইউনিয়ন ভিত্তিক লক ডাউন ঘোষণা (বহিরাগত প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ)
১০। ভোটার অনুসারে মাথাপিছু আয়ের শ্রেনী বিন্যাস ও ত্রাণ বিতরণ নির্ধারণ
১১। সম্পুর্ন কাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করবেন (অফিসার ইন চার্জ, চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট শাখা সহযোগিতা করবেন )।
১২। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডাক্তার ও নার্স প্রস্তুত রাখা
১৩। কম দামের পন্য সরবরাহ সঠিকভাবে নিশ্চিত করা (সব শ্রেনীর মানুষের জন্য) তেল, চাউল, লবণ, মসুরের ডাল ও চিনি ।
১৪। সর্বোপরি করোনাভাইরাস রুখতে হলে –ব্যক্তি সচেতনতা সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে।
হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে আমরা যা করতে পারি
(১)হ্যান্ডিক্রাফট/নকশার কাজ
(২)পেইন্টিং বা চিত্রাংকন
(৩) দর্জি/সেলাইয়ের কাজ
(৪) বসতবাড়িতে সবজি চাষ
(৫) অনলাইন পাঠদান