ইন্ডেক্সধারীদের আলাদা গণবিজ্ঞপ্তি সময়ের দাবি

রাসেল ইব্রাহীম
রাসেল ইব্রাহীম  © ফাইল ছবি

একজন শিক্ষক স্কুল-কলেজে যোগ দিয়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রাপ্য সুবিধা পাওয়ার কথা। প্রাতিষ্ঠানিক বেতন, স্কুল পরীক্ষার খাতা দেখার ফি, পরীক্ষার হল ডিউটি ফি কিংবা সহনীয় সংখ্যক ক্লাস—এসব একজন শিক্ষকের ন্যায্য অধিকার। প্রতিষ্ঠান এসব সুবিধা দিলে শিক্ষকও ক্লাস নেওয়ায় আরও আন্তরিক হন। কিন্তু যদি সুবিধা না পান, তবে আগে যে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ ছিল—৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি থেকে সেটিও আর নেই।

ফলে দেখা যায়, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের প্রাতিষ্ঠানিক বেতন দেয় না, হল ডিউটি ফি বা খাতা দেখার ফি দেয় না, কিংবা অতিরিক্ত ৬–৭টি ক্লাস নিতে বাধ্য করে। কারণ, প্রতিষ্ঠান জানে—শিক্ষকের অন্যত্র যাওয়ার সুযোগ নেই, তাই তাদের এসব নিয়ম মানতে বাধ্য করা যায়। অন্যদিকে শিক্ষকও অসহায়ের মতো এসব অযৌক্তিক নিয়ম মেনে নিতে বাধ্য হন।

এ ছাড়া অনেক শিক্ষক দূর-দূরান্ত থেকে এসে চাকরি করেন। প্রাতিষ্ঠানিক চাপের কারণে শিক্ষকতা আর উপভোগ্য থাকে না; বরং অনেকেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তায় থাকেন। তাই একজন শিক্ষককে অন্তত গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে বদলির সুযোগ দেওয়া—এটি সময়ের দাবি, মানবিক দাবিও বটে।

অনেক শিক্ষকই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করছেন। সার্বজনীন বদলি ব্যবস্থা চালু হওয়া আপাতত দূরের ব্যাপার হলেও, কর্তৃপক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার স্বার্থে শিক্ষকদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে—এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: শিক্ষক ও গীতিকার


সর্বশেষ সংবাদ