আমার মা, আমার আশ্রয়

বদরুল আলম
বদরুল আলম  © ফাইল ফটো

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো,
এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাকো

যেদিন পৃথিবীর আলো দেখলাম, সেদিন থেকে মা’কে খুব পেরেশান থাকতে দেখেছি। বেশ বড় পরিবারের দেখাশুনার দায়িত্বে একাই ছিলেন মা নিজেই। পরিবারের সব ঝামেলা সামাল দিতে মা’কে রীতিমতো হিমশিম খেতে হতো। মা খুব কষ্ট করে জীবন যাপন করেছেন। বাবা ছিলেন স্বল্প আয়ের খুব সৎ মানুষ। মায়ের দুঃখের কোন সীমা ছিল না। এর উপর দুঃখ ভাগাভাগির মতো মানুষ বলতে মায়ের তেমন কেউও ছিল না। (নানী মা’কে খুব অল্প বয়সে রেখে ওপারে পাড়ি দেন। তবে ভালো থাকবেন ওপারে নানী, দোয়া করি)। তারপর মা’য়ের সংগ্রাম শুরু। সেই সংগ্রামের গল্প মায়ের কাছে শুনেছি।

আমরা আমাদের মা বাবার সেবা করা উচিত। আমাদের এ সমাজে অনেক মা নির্যাতিত হচ্ছেন। কেউ বয়স্ককেন্দ্রে দিন যাপন করে সময় পার করছেন। এই দিনে যদি বলে যাই চলুন, আমরা সবাই আমাদের মায়ের সেবা করি। সেবাতেই শান্তি কিন্তু। অসহায়ের বন্ধু মাদার তেরেসাকে (১৯১০-১৯৯৭) স্মরণ করি-

"The fruit of silence is prayer
The fruit of prayer is faith
The fruit of faith in love
The fruit of love is service
The fruit of service in peace"

নীরবতাই প্রার্থনা, প্রার্থনাতেই বিশ্বাস জন্মায়, নিবিড় বিশ্বাস ভালোবাসার উৎস, গভীর ভালোবাসাই সেবার ভিত্তি, সেবাতেই শান্তি। নিজেকে সেবার পথে বদলাই। এসবকিছুর মাঝে মায়ের মুখে তাকিয়ে অনির্বচনীয় এক শান্তি পাই। তাকাতেই দেখি, এক হাসিমাখা মুখচ্ছবি। কী স্নিগ্ধ, কী অমলিন সেই হাসি! দিন শেষে ওই হাসিমাখা মুখই তো আমার পরম আশ্রয়।

একটি গানের কথা বলি। গানটি খুব বেশি শুনতে ইচ্ছে হয়। শুনি...

মা তুমি আমার আগে যেও না গো মরে,
আমি কেমন করে দেবো মাটি তোমার কবরে
মা তুমি আমার আগে যেও না গো মরে...

লেখক: বদরুল আলম
শিক্ষক ও গবেষক


সর্বশেষ সংবাদ