সুমুদ ফ্লোটিলার মিশনের সমাপ্তি এখানেই

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা  © টিডিসি সম্পাদিত

ইসরায়েলি বাহিনী অধিকাংশ বোট আটকে দিয়েছে। বেশিরভাগ অ্যাকটিভিস্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুমুদ ট্র্যাকার দেখাচ্ছে দুইটা ছাড়া বাকি সব বোট হয় ইন্টারসেপটেড না হয় ধারণা করা হচ্ছে ইন্টারসেপ্টেড । যে দুটোকে এখনও ইন্টারসেপ্টেড বলছে না সে দুটো হলো, ম্যারিনেট এবং মিকেনো।

গত রাতেই মিকেনো গাজার জলসীমায় ঢুকতে পেরেছে, এবং সেই থেকে এখনও তার অবস্থান দেখাচ্ছে গাজা থেকে প্রায় ৮-১০ নটিক্যাল মাইল দূরে। স্পেশালি সকাল থেকে এর অবস্থান স্থির দেখাচ্ছে আর এ বোটের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। AIS ট্র্যাকার আইএস ট্র্যাকের স্থির অবস্থান দেখাচ্ছে। গাজার লোকেরা বোট টিকে দেখতে পায়নি। সম্ভবত বোটটি আইডিএফ এর হাতে আটক হয়েছে।

মারিনেটকেও আগে চলমান অবস্থায় ট্র্যাকের দেখাচ্ছিল, কিন্তু সর্বশেষ খবরে এটিও সম্ভবত আটক হয়েছে বা এরসাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শুধু একটা জাহাজ, সামারটাইম, এখনও ভাসছে। ইতিহাস দেখাবে যে মিকেনো প্রথম জাহাজ যে গাজা অবরোধ ভাঙতে সফল হয়েছিল। এ মিশনের এখানেই সমাপ্তি। পরবর্তী মিশনের অপেক্ষায় এখন সারা বিশ্ব। আশা করি এর পরের মিশন আরও বড় হবে, যাতে থাকবে অনেক বিশ্ব বিখ্যাত মানুষ। এ মিশনের এখানেই সমাপ্তি। (লেখক: মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির বিশ্লেষক)

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত ৪০টি নৌযান আটক করা হয়েছে। যাত্রীদের সবাইকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং একে একে তারা আশদোদ বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তিদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ফ্লোটিলার কোনো নৌযানই 'সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা বা আইনত বৈধ নৌ-অবরোধ ভাঙার চেষ্টা' সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি। বিবৃতিতে বলা হয়, 'সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাদেরকে নিরাপদে ইসরায়েলেনিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেখান থেকেই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।'

তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনো একটি নৌযান যাত্রাপথে আছে। সেটি যদি যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হয়ে অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও আটকানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ