বিড়ম্বনার শিকার!

ফারুক হাসান
ফারুক হাসান  © সংগৃহীত

বিভিন্ন পাবলিক এবং চাকুরির পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা সব থেকে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকেন কেন্দ্রে প্রবেশের সময়। বিশেষ করে যারা গ্রামাঞ্চল থেকে আসেন পরীক্ষা দিতে তারা এই ভোগান্তি বেশি পোহাতে হয়। কেন্দ্রে প্রবেশের পথে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ঘড়ি সাথে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। চেক করে সাথে থাকা জিনিস গুলো বাহিরে রেখে আসতে বলা হয়। বাহিরে এসেই দেখেন বেশ কিছু মানুষ দোকান খুলে বসে আছে। দোকানের সামনে বড় অক্ষরে লেখা মোবাইল ৫০ টাকা, মানিব্যাগ ৪০ টাকা, ঘড়ি এবং ক্যালকুলেটর ৩০ টাকা ইত্যাদি। তারা ৪০-৫০ টাকার বিনিময়ে মোবাইল ঘড়িসহ মূল্যবান সামগ্রী যত্নসহকারে জমা রাখে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল এই ফটকাবাজদের সাথে কেন্দ্রের কর্মচারীদের একটা যোগাযোগ রয়েছে এবং এখান থেকে একটা পারসেন্টেজ তারা নেয়। এভাবে এই বিজনেস রমরমা ভাবে চলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক এবং চাকুরির পরীক্ষা গুলোতে।

কথা হচ্ছে, চাইলেই কেন্দ্রের ভিতরে এসব মূল্যবান সামগ্রী রাখা যায়। যদি সেখানে কর্তৃপক্ষের যদিচ্ছা থাকে। কেন্দ্রে অসংখ্য ফাঁকা রুম থাকে সেগুলোতে এইসব জিনিসপত্র রাখাই যায়।

এখন অনেকে বলতে পারেন, যেহেতু আইনত এসব ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী কেন্দ্রে আনা নিষেধ তাহলে তারা কেন আনেন? আপনার কথা শতভাগ সঠিক কিন্তু কথা হলো গ্রামাঞ্চল থেকে যারা আসেন তাদের এমন অনেক মানুষ আছে যাদের ঢাকায় কেউ নেই অথবা ঢাকায় থাকার মতো বা সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউ নেই, এরাই এই বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকেন বেশি। কর্তৃপক্ষ কি বুঝবে বেকারদের এই যন্ত্রণা.......?

ফারুক হাসান

যুগ্ম-আহবায়ক,
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।


সর্বশেষ সংবাদ