শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষক নিয়োগের অপরিহার্যতা

শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষক নিয়োগের অপরিহার্যতা
শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষক নিয়োগের অপরিহার্যতা

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষায় চলছে একটা চাপা অস্থিরতা। এই অস্থিরতার সূত্রপাত হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণির চাকরিজীবীর মধ্যে কে কাকে ডিঙিয়ে উপরে উঠবে তা নিয়ে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিপ্লব পরবর্তী দেশের প্রশাসন-যন্ত্রের বেহাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে একদল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাধ্যমিক শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র ঢাকার মাউশি ভবনে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জড়ো হয়ে বৈষম্য দূরীকরণের মিথ্যা স্লোগান দিয়ে মাউশির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যেনতেন উপায়ে রাজি করিয়ে 'জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা'র পদটি নিজেদের নামে বাগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। 

তাদের এই চাওয়াটি ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং বিধিবহির্ভূত। এজন্য সেদিন দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত একদল সচেতন শিক্ষক তাদের সেই অযৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে মাউশিতে প্রতিবাদ করতে গেলে হট্টগোল পাকানো সেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ তাদের উপরে বিনা উস্কানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদেরকে শারীরিকভাবে প্রহৃত করেন।

খালি চোখে এটি আমাদের কাছে অত্যন্ত সাধারণ একটা ঘটনা মনে হলেও এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য একটা গভীর বার্তা বহন করে। সেটি হলো দেশের শিক্ষক সমাজকে যে প্রতিষ্ঠান পরম মমতায় বুকে আগলে রাখবে, সেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃকই শিক্ষকরা চরমভাবে লাঞ্ছনা ও অপমানের শিকার হয়েছেন। বিপদে-আপদে যে শিক্ষা কর্মকর্তাগণ শিক্ষক সমাজের পাশে বটগাছের মতোন ছায়া হয়ে থাকবেন, সেই শিক্ষা কর্মকর্তাগণই শিক্ষকদের মুখে সজোরে ঘুষি চালিয়েছেন।

এখন যে যুক্তিতে তারা শিক্ষকদের সাথে এহেন ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করেছেন, তাদের সে যুক্তিটাও খুব অসার এবং শঠতাপূর্ণ। তারা সেদিন মাউশিতে উপস্থিত হয়ে 'জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা' নামক পদটির শতভাগ নিজেদের নামে দাবি করে মিছিল করেছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, তারা এই পদটির শতভাগ দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে তাদেরকে বঞ্চিত করে সরকার সেখানে সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের পদায়ন করে আসছে।

কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বা মাউশির কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-১৯৯১ (সংশোধিত-২০১৮) অনুযায়ী 'জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা' পদটির ৮০ শতাংশ পদে পদোন্নতির মাধ্যমে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক/পরিদর্শীকা, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ নিয়োগ পাবেন। আর অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পদে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, 'জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা' পদে নিয়োগের এই বিধিমালায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পদোন্নতির মাধ্যমে 'জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা' হিসেবে নিয়োগদানের কোনো উল্লেখই নেই।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন তাহলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ হঠাৎ করে এই পদটি তাদের বলে দাবি করলেন? এই সরল প্রশ্নটির উত্তরে তারা যুক্তি দিচ্ছেন যে, যেহেতু তাদের 'উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা' পদে চাকরি করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে, সেহেতু তারা সেই অভিজ্ঞতার বলেই 'জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা' পদটির যোগ্য দাবিদার।আর যখন তাদেরকে বিধিমালা দেখিয়ে বলা হচ্ছে যে, এই পদে তো নিয়োগ লাভের সুযোগ আছে কেবলমাত্র বিদ্যালয় পরিদর্শক ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের, তখন তারা যুক্তি দিচ্ছেন এই বলে যে, শিক্ষকদের যেহেতু প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা নেই, সেহেতু শিক্ষকগণ এই পদে নিয়োগ লাভের যোগ্যতা রাখেন না! কী আজগুবি বয়ান, তাই না?

এখন দেখে নেওয়া যাক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ কর্তৃক শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনে না বসানোর আহ্বান কতটা অযৌক্তিক, অজ্ঞতাপূর্ণ ও অদূরদর্শী। মানব সভ্যতার সুদীর্ঘ ইতিহাস থেকে আমরা জেনে আসছি যে, যারা যেসব ক্ষেত্রে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও সেসব ক্ষেত্র সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল, তারা সেসব ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পেলে অন্যদের থেকে ভালো করেন। এজন্যই একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় তার খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ভালো একটা দলের হয়ে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়ে থাকেন। 

একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা উচ্চ বেতনে বিভিন্ন নামকরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পেয়ে থাকেন। একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন ইত্যাদি। কিন্তু এর বিপরীতে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতাবিহীন এবং এ সকল ক্ষেত্র সম্পর্কে অজানা কাউকে এসব পদে বসালে তারা সচরাচর ভালো কোনো ফলাফল বয়ে আনতে পারেন না।

ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ টানতে পারি। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক -এই দুই ধরনের পদ আছে। এখন মজার বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই ধরনের পদেই কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণই নিয়োগ পেয়ে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চালানোর জন্য কিন্তু বাইরে থেকে আলাদা কোনো প্রশাসক নিয়োগ করা হয় না। কিন্তু এটা কেন করা হয়? কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের চেয়ে প্রশাসন চালানোয় অধিকতর দক্ষ কোনো প্রশাসককে সেখানে নিয়োগ করা হয় না? এর উত্তর খুব সোজা। 

একটা বিশ্ববিদ্যালয় আস্ত একটা দেশের মতো জটিল ও আঁকাবাঁকা। দক্ষতার সাথে একটা দেশ চালাতে হলে দেশের নেতাকে যেমন সেদেশের প্রতিটা অলিগলি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হয়, তেমনি করে একটা বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য সেখানকার প্রশাসককে সেই বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মনস্তত্ত্ব ভালোভাবে জানতে হয়। এখন, একজন শিক্ষক তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মনের খবর, হাঁড়ির খবর যতটুকু চেনেন-জানেন-বোঝেন, ততটুকু কি বাইরে থেকে আগত একজন প্রশাসক বুঝবেন? তা তিনি যত বড় মাপের মেধাবী প্রশাসকই হোন না কেন? না, তিনি কখনোই তা বুঝতে পারবেন না।

যদি তা-ই সত্য হতো, তবে বৃটিশ বা পাকিস্তানি সাম্রাজ্যবাদী শাসকগোষ্ঠী এদেশ থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে পলায়ন করত না। এদেশ চালানোর জন্য বৃটিশ বা পাকিস্তানিরা যেসকল প্রশাসক নিয়োগ করেছিল, তারা তো গড়পড়তা বাঙালির চেয়ে শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-গরিমায় অনেক এগিয়ে ছিল। কিন্তু তবু কেন সে সকল সাম্রাজ্যবাদী প্রশাসক তাদের সাধের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে পারেনি? পারেনি, কারণ তারা এদেশের মাটি ও মানুষকে ভালোভাবে চিনত না, তারা এদেশের মানুষের মনের খবর ভালোভাবে পড়তে পারত না, তারা এদেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার হৃদস্পন্দন বুঝতে পারত না। 

এজন্যই তারা প্রশাসক হিসেবে ব্যর্থ হয়েছিল। এখন, আমাদের দেশের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হয়েছে সেই দশা। উনারা উপনিবেশিক ব্রিটিশ বা পাকিস্তানি প্রশাসকদের মতোই বাংলাদেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাটি ও মানুষ সম্পর্কে অজ্ঞ। উনাদের মধ্যে বিদ্যালয় চালানোর জন্য না আছে অত্যাবশ্যকীয় কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি, না আছে শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা। আর উনাদের মধ্যে সরাসরি শিক্ষকতার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাহিদা ও দাবিদাওয়া সম্পর্কে যেমন কিছুই অনুধাবন করতে পারেন না, তেমনি তারা বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব বুঝতেও পুরোপুরি অক্ষম।

উনারা সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ বা পাকিস্তানিদের মতোই উড়ে এসে জুড়ে বসা শক্তি। এখানে উল্লেখ্য যে, উনারা ১৯৯৬ সালে চালু হওয়া একটা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মাউশিতে ঢুকে সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত উপায়ে তাদের অস্থায়ী চাকরিকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করিয়ে নিয়েছেন। একবার চিন্তা করুন, প্রকল্প থেকে যেনতেন একটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসা এসকল জনবল আজ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আজ শিক্ষা কর্মকর্তা বনে গেছেন! এহেন পরিস্থিতিতে, দেশের এসকল অদক্ষ জনবল দ্বারা বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন সাধন তো হয়-ই না, উল্টো তারা নিজেদের দূর্বলতা ঢাকতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপরে জোর করে বিভিন্ন সময়ে তাদের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন।

তারা যে সময়ে সময়ে তাদের ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে নানা রকমের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমাজের উপরে চাপিয়ে দেন, তার সর্বশেষ নমুনা হচ্ছে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর চলমান জাতীয়করণের আন্দোলনে পাশে থাকার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সেখানকার শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর খায়েশ। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ তাদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করবেন -এটাতো অত্যন্ত যৌক্তিক একটা দাবি। 

একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণকৃত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তাদের সেই যৌক্তিক আন্দোলনকে যদি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ অযৌক্তিকভাবে প্রভাবিত করেন, তাহলে তো সেটা শিক্ষকদের চোখে ধুলো দিয়ে শিক্ষক সমাজকে বোকা বানানোর শামিল, শিক্ষক সমাজের মধ্যে পরিকল্পিত বিভক্তি ও সন্দেহ সৃষ্টি করার শামিল, শিক্ষক সমাজের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ছিনিয়ে নেওয়ার শামিল। 

এখানে উল্লেখ্য যে, মাউশির কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগের সর্বশেষ সংশোধিত বিধিমালা -২০১৮ অনুযায়ী, 'উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা' পদের ৫০ শতাংশ পদে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগদানের কথা বলা হয়েছে। এখন, বর্তমানে কর্মরত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এসব পদে নিয়োগ আটকে দেওয়ার জন্য নির্লজ্জভাবে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যানার ব্যবহার করছেন। এ সকল অসাধু ও অদক্ষ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণের প্ররোচনা ও উস্কানিতেই বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ তাদের জাতীয়করণ আন্দোলনের ব্যানারে মাউশির শিক্ষা প্রশাসনের সব ধরনের পদে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বেসরকারি সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার দাবি করেছেন। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন হীন কৌশলের আশ্রয় নেওয়া কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার শামিল। কারণ আজ তারা সম্পূর্ণ নির্লজ্জভাবে  একদল শিক্ষককে আর একদল শিক্ষকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন এবং আখেরে উভয় দলের শিক্ষকদেরকেই সুকৌশলে পেশাগতভাবে ক্ষতি করার কৌশল এঁটেছেন!

দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনের বাস্তব অবস্থা যখন এমন হ-য-ব-র-ল, তখন আমাদের শিক্ষার এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা স্তর নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা ভেঙে পড়লে এই জাতিকে কখনোই পৃথিবীর মুল মঞ্চে তুলে ধরা সম্ভব হবে না। তাই এদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনকে আরো গতিশীল, যুগোপযোগী ও মেধাভিত্তিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের মধ্য থেকেই প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। কারণ, কেবলমাত্র একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকই পারেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হৃদস্পন্দন বুঝতে।

লেখক: সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি)
পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা 
ইমেইল: rezadu367@gmail.com


সর্বশেষ সংবাদ