বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের হিজাব-নিকাবের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারে না
- সাঈয়েদ আব্দুল্লাহ
- প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫১ PM , আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫১ PM
আমরা যারা ভয়েজ ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছি, তারা ইচ্ছা করলেও দাড়ি রাখতো পারতাম না। একেবারে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা ফিক্সড ড্রেসকোড তো ছিলোই, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় স্লিপিং ড্রেসও ফিক্সড করা থাকতো। ফিক্সড নিয়মের বাইরে কোনকিছুই করার সুযোগ ছিলো না।
কথা হলো, ওই স্পেশালাইজড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ড্রেসকোডের ফিক্সড আইন আছে। কিন্তু একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তো সেইরকম ড্রেসকোডের আইন নেই, সেটা থাকা যুক্তিসঙ্গতও নয়। তাই ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই বলতে পারেনা যে, নিকাব পরা যাবে না।
আরও পড়ুন: প্রেজেন্টেশন-পরীক্ষায় ছাত্রীরা মুখ না দেখালে ব্যবস্থা নেবে বাংলা বিভাগ
এখন যারা যারা এই দাবি করছেন যে এইভাবে যদি পর্দা মেইনটেইনই করতে ইচ্ছে হয়, তাহলে তার তো ভার্সিটিতেই আসা উচিত না। কিংবা ভার্সিটিতে পড়াশোনা করার সময় পর্দার অধিকার সে কোনোমতেই চাইতে পারে না, তাদের দাবি একেবারেই চূড়ান্ত লেভেলে এবসার্ড।
একজন নারী শিক্ষার্থী যদি হিজাব-নিকাব করে ভার্সিটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়, কোনোভাবেই ভার্সিটি তার সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। যদি করে, তা হবে ওই নারী শিক্ষার্থীর প্রতি তার শিক্ষা ও ধর্মীয় মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে হিজাব-নিকাব পরার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়
বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনের স্পষ্ট প্রভিশন দেখালাম। যেখানে পর্দানশীল নারীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে বিধান আছে। তা ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রায় দেখালাম, দেখালাম ICCPR ও ECRC-এর স্বীকৃতি মানবাধিকারের বিধানও।
এরপরও যারা যারা শুধুমাত্র গায়ের জোরে এই দাবি তোলেন যে নিকাবের অধিকার চাইতে গেলে একজন নারী শিক্ষার্থীর ভার্সিটিতে পড়ার কোন অধিকার নেই, তারা পারলে আমাকে ভুল প্রমাণ করে দেখান। আমি যেসব লিগ্যাল ডকুমেন্টস তুলে ধরলাম সেগুলোকে ভুল প্রমাণ করেন। চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিলাম আপনাদের উদ্দেশ্যে।
লেখক: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়