‘অচিরেই ছাত্ররাজনীতি উপযোগিতা হারাবে’
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৭ PM , আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৭ PM
শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ করে যে। অপরিপক্ব বয়সে ছাত্ররাজনীতি করা আবেগী ছেলেমেয়েগুলোকে শুধু রাজনৈতিক মিটিং, মিছিল, প্রটোকল বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ‘টয়লেট টিস্যু’র মতো ওয়ান টাইম ব্যবহার না করে তোয়ালে কিংবা রুমালের মতো ব্যবহার করে সযত্নে সেলফে রেখে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করুণ, আজীবন কাজে লাগবে।
মূল সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র-সংগঠনের অভিভাবক তুল্য, সুতরাং ছোটদের দায়িত্ব নেয়া শিখতে হবে বড়দের। তাদের জীবনের ভালো মন্দ, চড়াই-উৎরাই, দুঃখসুখের ভাগীদার হতে হবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল রাজনৈতিক দলের, সাংগঠনিকভাবে ‘কর্মসংস্থান’ নিয়ে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। অতীতে বিএনপি এবং দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও বর্তমানে আওয়ামী লীগ ছাত্ররাজনীতি করা ছেলেমেয়েদের জীবিকা ও কর্মসংস্থান নিয়ে আঞ্চলিক কিংবা জাতীয়ভাবে উদ্যোক্তা হতে, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কোন সভা-সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক, আলোচনা, কর্মশালা, ক্যারিয়ার ফেয়ার বা এই জাতীয় কোন কার্যকর উদ্যোগ সাংগঠনিকভাবে নিয়েছে বলে আমার জানা নেই!
মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক কিংবা কর্মসংস্থান সম্পাদক ও উপ/সহ সম্পাদক নামের পদ থাকলেও দৃশ্যত কোন কার্যক্রম নেই! স্বদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে, ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এমন বহু সেক্টর আছে, যেখানে অসচ্ছল, মধ্যবিত্ত পরিবারের বোঝা হয়ে ওঠা দলীয় ‘রাজনৈতিক কর্মী’কে সহজেই প্রোভাইড করা যায়।
বিগত ১৪ বছরে আমরা এমন বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেখেছি, সরকারি দলের সুবিধা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা নয়, রীতিমতো বটগাছ হয়েছে। সীমাহীন অর্থবিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি, মিল-কারখানার মালিক হয়েছেন, যেখানে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলেও নিজ উদ্যোগে বা দায়িত্ব নিয়ে ক’জন ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েকে চাকরি দিয়েছেন মহাশয়েরা?? অথবা দলীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে নিজ দলীয় বড় ব্যবসায়ীদের মালিকানাধীন ব্যাংক, বীমা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কতজন মাঠের কর্মীর চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে? আমার কাছে তেমন কোন দৃষ্টান্ত নেই!
আরও পড়ুন : ছিলেন স্কুলের টপার, দেহ ব্যবসায় না নামায় হত্যা?
কিছু সুহৃদ নেতা দায়িত্ব নিয়ে নিজ এলাকা বা নিজের অনুসারীদের কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু কাজ করলেও সেটা সামগ্রিক প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।
বহুল প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে- পেটে খেলে পিঠে সয়! নিজের ও দলীয় প্রয়োজনে যাদের যথেচ্ছা ব্যবহার করছেন, তাদের জীবন ও জীবিকার একান্ত প্রয়োজনে সাংগঠনিক তথা দলীয়ভাবে বৃহৎ চিন্তা করার সময় এসেছে। নইলে, এই মাথা গোনা আর মাসুল পাওয়ার ব্যবহারের শো-ডাউন রাজনীতি, স্বর্ণালী যৌবন থেকে যে মহামূল্যবান হাজার, লক্ষ কর্মঘণ্টা বিনষ্ট করছে, তাতে কালের বিবর্তনে অচিরেই ছাত্ররাজনীতি স্বীয় আবেদন ও উপযোগিতা হারাবে!