সরকারি মেডিকেলে এখনও আসন ফাঁকা!

দেশের সরকারি মেডিকেলের সব আসন এখনও পূরণ হয়
দেশের সরকারি মেডিকেলের সব আসন এখনও পূরণ হয়  © ফাইল ছবি

সারা দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ১০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এ আসনগুলোতে দ্বিতীয় দফায় মাইগ্রেশন চলছে। প্রথম দফার মাইগ্রেশন শেষে ১০টি আসন ফাঁকা হয়। এখন দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশনেও আসনগুলো পূরণ হবে কি-না, তা নিয়ে সংশয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেলে মোট আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। এর মধ্যে ৪১টি আসনে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এ আসনগুলোতে প্রথম দফায় মাইগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশন চলছে। দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশন শেষেও যদি কোনো আসন ফাঁকা থাকে তাহলে তৃতীয় দফার মাইগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ১০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এ আসনগুলোর বিপরীতে দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি চলছে।

মাইগ্রেশন ফলপ্রসূ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা ভেবেছিলাম মাইগ্রেশন চলাকালীন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে ফল প্রকাশিত হবে। তবে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষাই এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। কাজেই মাইগ্রেশন ফলপ্রসূ হয়েছে কি না সেটি বলা মুশকিল। কেননা বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে আরও কিছু আসন ফাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। গত ১০ মার্চ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১২ মার্চ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। এ হিসাবে প্রতিটি আসনে ভর্তির জন্য লড়েন ৩২ জন শিক্ষার্থী। আর ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৬ হাজার ৭৭২টি। সব মিলিয়ে এ শিক্ষাবর্ষে ১১ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। এ হিসাবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি আসনের জন্য ১২ দশমিক ৫ জন পরীক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ