অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা আলিয়া, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৬ PM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৬ PM
সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব জায়গায় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণে শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মাদ্রাসা প্রশাসন।এমন ঘোষণার প্রতিবাদে সকাল থেকেই আন্দোলনে নেমেছে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টা থেকে মাদ্রাসার আল্লামা কাশগরী হলের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন অনাবাসিক ও আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় চার একর জমি নিয়ে নির্মিত সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাসের নাম মাত্র দুটো ভবন ছাড়া সকল মাঠ এবং ভূমি ইতোমধ্যেই বেদখল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অরাজকতার সঙ্গে আলিয়ার শিক্ষার্থীরা জড়িত নয়: শিক্ষা উপমন্ত্রী
সর্বশেষ হলের সীমানা প্রাচীর এর মধ্যে অবস্থিত প্রধান হল সুপার এবং সহকারি হল সুপারের বাসভবন ভেঙে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতোমধ্যেই হল সুপারের বাসভবনের উপর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যানার লাগানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রশাসন তাদের ওপর চড়াও হয়েছে।
‘‘নিজ ক্যাম্পাসে অন্য প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেওয়ায় ফলশ্রুতিতে মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে ও হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন তারা।’’
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় অন্তত একটি মাদ্রাসা সরকারি হোক
ফাজিলের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে এ মাদ্রাসায় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অথচ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের জন্য একটিমাত্র জরাজীর্ণ আবাসিক হল রয়েছে। যেখানে মাত্র ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শরীর চর্চা কেন্দ্র, আধুনিক পাঠাগার, ছাত্র সংসদ কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পাঠকক্ষ বলতে এসব কিছুই নেই। এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় নিজ ক্যাম্পাসের উন্নয়ন না করে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানা হয়েছে, যেকোনো ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সকাল থেকেই সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া সামনে অবস্থান নিয়েছে চকবাজার থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢাকার এই মাদ্রাসার ছাত্ররা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি হতে পারবে
চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তাসলিমা আক্তার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় এজন্য আমরা অবস্থান নিয়েছি ৷ এখন পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরেই অবস্থান করছে৷
এর আগে, এদিন সকালে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার আল্লামা কাশগরী (রহ.) হল ও ইব্রাহিম হলের সুপার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বিকেল চারটার মধ্যে অবস্থিত সকল শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।