বাংলা সাহিত্যের সেরা পাঁচ উপন্যাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২২, ১২:৩২ PM , আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২২, ০১:০৬ PM
বাঙালি বই পড়তে বরাবরই ভালোবাসে। সাহিত্যে যেমন বাঙালির অবদান অনেক তেমনি পাঠকের ক্ষেত্রেও বাঙালির কমতি নেই।সকলেই কম বেশি বই পড়েন। কেউ বই পড়তে ভালবাসেন কেউ বা শখের বসে কিংবা প্রয়োজনের তাগিদে বই পড়েন। তবে উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি খুব কমই পাওয়া যাবে। কারও রহস্য পছন্দ, করোর ভৌতিক, কারও পছন্দ রোমান্টিক উপন্যাস বা প্রেমের উপন্যাস।
গল্প, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ বাংলা সাহিত্য। অনেকেই বাংলা সেরা উপন্যাস সমূহের খোঁজ করেন। উপন্যাস পড়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাঠকের রিভিউর উপর ভিত্তি করে বাংলা সাহিত্যের সেরা ৫ উপন্যাসের তালিকা দেওয়া হল।
পথের পাঁচালী (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়): বাংলার গ্রামে দুই ভাইবোন অপু আর দুর্গার বেড়ে ওঠা নিয়েই বিখ্যাত এই উপন্যাস। বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অপু ও তার পরিবারের জীবনযাত্রার কথাই পথের পাঁচালীর মুখ্য বিষয়। শান্ত মায়ের নেউটা অপু আর দস্যি দুর্গার খুনসুটি আর ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে এই উপন্যাসে। অপুর বাবা পুরোহিত হরিহর রায় নিশ্চিন্দিপুরের পৈতৃক ভিটেয় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তিনি পেশায় পুরোহিত। আয় সামান্য। লেখাপড়া জানেন। তাই কিছু ভাল যাত্রাপালা লিখে অধিক উপার্জনের স্বপ্ন দেখেন।
সেই সময় (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়): এটি একটি বাংলা ঐতিহাসিক উপন্যাস যার উপজীব্য ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ শাসনামলের বিকাশমান কলকাতা নগরীর সমাজ এবং মানুষ । ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাঙালির নবজাগরণ উপন্যাসটির অন্যতম মূল বিষয়বস্তু। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশব চন্দ্র সেন, ডেভিড হেয়ার এবং জন বেথুন এর মতো প্রখ্যাত চরিত্র নিয়ে এ উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে।
টেনিদা সমগ্র (নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়): টেনিদা বা টেনি বা ভজহরি মুখার্জি হলো নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র। টেনিদা মূলত উত্তর কলকাতার পটলডাঙায় বসবাসরত একটি স্থানীয় চরিত্র। টেনিদার প্রকৃত নাম ভজহরি মুখার্জি। পটলডাঙার আশেপাশে বসবাসরত চার তরুণ ছেলেদের একটি দলের নেতা টেনিদা। পড়াশোনায় তেমন ভালো ছিলেন না সাত বারের চেষ্টাতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তিনি। টেনিদা বিখ্যাত ছিলেন তার খাঁড়ার মত নাকের জন্যে, গড়ের মাঠে গোরা পেটানোর জন্যে। আর তার বিখ্যাত সংলাপ, 'ডি-লা গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক।'
শেষের কবিতা (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর): এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি প্রেমের উপন্যাস। বিংশ শতকের বাংলার নবশিক্ষিত অভিজাত সমাজের জীবনকথা। বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় (‘অমিট রে’) প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত এবং রোমান্টিক যুবক। তর্কে প্রতিপক্ষকে হারাতে সিদ্ধহস্ত। এই অমিত একবার শিলং পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে এক মোটর-দুর্ঘটনায় পরিচয় ঘটে লাবণ্যর সঙ্গে। যার পরিণতি প্রেম।
পুতুল নাচের ইতিকথা (মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়): উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র গ্রামের ডাক্তার শশী যার ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস নেই। গ্রামের পটভূমিতে শশী, শশীর বাবা, কুসুম-সহ অন্যান্য চরিত্রগুলোর মাঝে বিদ্যমান জটিল সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গড়ে উঠেছে এর কাহিনি ও প্রেক্ষাপট। প্রেম, বিরহ, বিদ্বেষ ও পারস্পরিক সহমর্মিতা কে আলোকপাত করে এই উপন্যাস লেখা।