পূর্বাচল প্লট দূর্নীতি

হাসিনার ৫, রেহানার ৭ ও টিউলিপের ২ বছর কারাদণ্ড

শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিক
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিক  © সংগৃহীত

রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে শেখ হাসিনাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার বোন শেখ রেহানার ৭ ও রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের ২ বছর কারাদণ্ডসহ উভয়ের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ আদালতের বিচারক রবিউল আলম মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, শেখ রেহানাকে এ মামালায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং শেখ হাসিনাসহ বাকি আসামিদের ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হলো। এ মামলায় ১৭ জন আসামির মধ্যে শুধু খুরশীদ আলম আত্মসমর্পন করেছেন। 

এর আগে প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় গত ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার ৭ বছর করে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এক মামলায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে আজকের মামলার রায়ে নতুন করে সাজার মুখোমুখি হতে পারেন রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। 

এ মামালায় প্লট গ্রহীতা হিসেবে প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ রেহানাকে, দুই নাম্বার আসামি টিউলিপ ও শেখ হাসিনা তিন নাম্বার আসামি। রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পূর্বাচলে মা, ভাই ও বোনের প্লট বরাদ্দে তিনি তার ‘বিশেষ ক্ষমতা’ ব্যবহার করে খালা শেখ হাসিনার ওপর চাপ প্রয়োগ ও প্রভাব বিস্তারে ভূমিকা রাখেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। 

আরও পড়ুন: সায়েন্সল্যাব অবরোধ ঢাকা কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থীদের

তাদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন। বাকিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা রয়েছে। এর আগে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। এ মামলাগুলোর মধ্যে তিনটির রায় হয়েছে। আজ সোমবার চতুর্থ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। 

গত ৩১ জুলাই এ মামলার চার্জগঠন করা হয়। বিচার চলাকালে এ মামলায় ৩২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও গরিব দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ