বিএনপি কর্মীকে হত্যা, সাবেক এসপি গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৭ PM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৫ PM
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কুদরত আলী নামে এক বিএনপি কর্মীকে গুলি করা হত্যা মামলায় জেলার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির আরেক কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়া কারাগারে ছিলেন।
মামলার এজহারে নিহত কুদরত আলীর ছেলে উল্লেখ করেন, আমার বাবা কুদরত আলী বিএনপির একজন সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির সব কর্মসূচিতে আমার বাবা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও কিছু সুবিধাভোগী পুলিশ আমার বাবাকে মিথ্যা মামলায় আটক ও হত্যা করার পরিকল্পনা করে। যাতে বিএনপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে না পারে। এই ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি (১) ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার, (২) এসআই রোকনুজ্জামান, (৩) এসআই মেহেদী হাসান, (৪) এসআই শাহজাহান, (৫) এএস আই আনিচুর রহমান, (৬) কুষ্টিয়া জেলার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পুলিশেরা আমার বাবাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
এজহারে বলা হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৩ জুলাই রাত ২টার দিকে আমাদের আমার নিজ বাড়ি মুন্সিগঞ্জে উল্লিখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন পুলিশ আসে এবং আমার বাবা কুদরত আলীকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তী তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর ২৫ জুলাই তার মরদেহ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাওয়া যায়। বুকের ডান দিকে ও বাম দিকে দু'টি গুলির চিহ্ন, দুই হাতে, পিঠে, মুখে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, লাশ দাফনের পর ২৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার বলে যে মামলা করলে তোরও একই পরিণাম হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে এবং পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত কুষ্টিয়া কিলার তানভীর উপাধি পাওয়ায় তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারিনি। ফলে আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো মামলা করতে পারেনি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন, দৌলতপুর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।