ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে হাদির গায়েবানা জানাজা

কোলাজ ছবি
কোলাজ ছবি  © টিডিসি সম্পাদিত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রভাগের নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) এবং জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) যোহেরের নামাজের পর এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

চবির জিরো পয়েন্টে আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. আব্দুল কাদেরের ইমামতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি,  চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানাজায় অংশ নেন। এসময় বক্তারা বলেন, ওসমান হাদি আমাদের দেখিয়েছেন কিভাবে স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ন্যায়-নীতির পথে চলতে হয় এবং দেশের জন্য আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়।

জানাজায় চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, আমাদের ভাই ওসমান হাদি মাত্র ৩২ বছর বয়সে বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এত কমবয়সে এই ইতিহাস কেউ করেনি। ওসমান হাদি যেমন প্রকৃত শত্রু চিনতে পেরেছিল, তেমনি তার শত্রুরা প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষ চিনতে পেরেছিল। তিনি তার অল্প বয়সে এত প্রভাব বিস্তার করেছিল যে পুরো ভারতীয় আধিপত্যবাদ কেঁপে উঠেছে। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কেন্দ্রিয় মসজিদের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মাঈন উদ্দীন, রাকসু নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। বক্তারা শহীদ হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে তুলে ধরেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মাঈন উদ্দীন বলেন, কয়েকজন বীর শহীদের আত্মত্যাগ কখনো কোনো আন্দোলনকে থামাতে পারে না বরং একজন বীর শহীদ হলে জন্ম নেয় আরও শত শত বীর। বিপ্লবী শহীদ ওসমান হাদীর গায়েবানা জানাজায় আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। তিনি যেন তাকে প্রকৃত শহীদের মর্যাদা দান করেন। 

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শতশত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে শিক্ষার্থীরা শহীদ ওসমান হাদীর প্রতীকী কফিন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করেন এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, যখনই আমাদের দেশের কোনো দেশপ্রেমিক ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তখনই তাকে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। ২০১৩ সালে ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলায় বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়। ২০১৮ সালে আবরারকে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ আমাদের সকলের প্রিয় ওসমান হাদি ভাইকে জীবন দিতে হয়েছে। এছাড়াও ভারতের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে খুনি হাসিনা ভারতের কথায় ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে।

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) বিকেল ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা শহীদ হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!