জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৭:৩৪ AM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ১২:০২ AM
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত এবং সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ কিছু নির্দিষ্ট দেশে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংস্থাটির সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে। বার্তায় করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সকল প্রবেশপথে নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় জানানো হয়, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট—অমিক্রনের এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১—এর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে কারণে ভারতসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে ভ্রমণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, দেশের সকল স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি (IHR-2005) অনুসারে স্থাপিত ডেস্কগুলোতে হেলথ স্ক্রিনিং ও সার্ভেইলেন্স জোরদার করতে হবে। থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, যেন সম্ভাব্য সংক্রমণ দ্রুত শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা যায়।
এছাড়া নির্দেশনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই), মাস্ক ও গ্লাভস সংরক্ষণ এবং আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাধারণ জনগণের জন্য যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে থাকা। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা এবং চোখ-মুখ-নাক স্পর্শ থেকে বিরত থাকার কথাও বলা হয়েছে। কেউ অসুস্থ বোধ করলে ঘরে অবস্থান করতে এবং গুরুতর হলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।