শিশুরা খেতে চায় না— তাদের জন্য করণীয় জানাল জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৩ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:২৭ PM
সাধারণত শিশুরা স্বাভাবিকভাবে খেতে চায় না, অপুষ্টিতে ভোগে কিংবা অসুস্থ অবস্থায় থাকে। তাদের জন্য বিশেষ পুষ্টি ব্যবস্থাপনা জরুরি। শিশুদের খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে খাবারকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে যাতে অপুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করা যায়।
সরকারি জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কিছু করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- শিশুকে জোর না করে যখন ক্ষুধা পাবে তখন খাওয়াতে হবে; শিশুকে উৎসাহ দিয়ে, প্রশংসা করে সময় ও ধৈর্য নিয়ে খাওয়াতে হবে; চকলেট, চিপস জাতীয় খাবার যেগুলো শিশুর শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও ক্ষুধা নষ্ট করে, সেগুলো খাওয়ানো যাবে না; বিভিন্ন বৈচিত্র্যপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার শিশুর সামনে দিয়ে তাকে খেতে সাহায্য করতে হবে (এ সময় শিশুর সাথে বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরাও খাবে)।
অসুস্থ শিশুকে খাওয়ানো করণীয় প্রসঙ্গে সরকারি এ প্রতিষ্ঠান জানায়- শিশুকে বারে বারে মায়ের দুধ খেতে দিন ও সেই সাথে ঘরের তৈরি পরিপূরক/বাড়তি খাবার বারে বারে খাওয়াতে হবে; অসুখ থেকে সেরে উঠলে, আগের ওজনে না ফেরা পর্যন্ত শিশুকে পুষ্টি সম্পন্ন খাবার (যেমন চাল,ডাল, মাংস, ডিম, সবজি ও তেল ইত্যাদি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি) বারে বারে খাওয়াতে হবে।
এ বিষয়ে মহাখালীতে অবস্থিত জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক রওশন জাহান আখতার আলো দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা উপজেলা ভিত্তিক ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ও জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করে পুষ্টি বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করে থাকি। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানানো হয়—যেমন পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডাল ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শিশুদের সুষ্ঠু শারীরিক ও মানসিক বিকাশে এসব খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো বেসিক পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং মা ও শিশুদের সুস্থ রাখা। এর মাধ্যমে মা ও শিশুকে মেজর রোগগুলোর থেকে সুরক্ষিত করা সম্ভব হয়। পাশাপাশি, সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন (ওভারওয়েট) কমানোও সম্ভব।