হাসি মানেই হেলথ থেরাপি: প্রতিদিন ১০ মিনিট হাসলে পাবেন যেসব সুফল 

হাসি মানেই হেলথ থেরাপি
হাসি মানেই হেলথ থেরাপি  © প্রতীকী ছবি

আমরা প্রায়ই বলি, ‘হাসিই সবচেয়ে বড় ওষুধ’। কিন্তু জানেন কি, বিজ্ঞানও এই কথার পক্ষে। গবেষণা বলছে, প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটের হাসি আমাদের শরীর ও মনের ওপর রাখতে পারে ইতিবাচক অসাধারণ প্রভাব। তাই চিকিৎসকেরা প্রায়শই বলেন, হাসি মানেই হেলথ থেরাপি। হাসির গুরুত্ব জানানোর উদ্দেশ্যে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব হাসি দিবস। প্রতিবছর মে মাসের প্রথম রবিবার পালিত হয় দিবসটি। 

চিকিৎসকেরা বলেন, হাসির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে পারলে হার্ট ভাল থাকে। রক্তচাপ ঠিক থাকে। এমনকি এ-ও দেখা গেছে দিনে যদি ১০ মিনিটও কেউ মন খুলে হাসেন, তাহলে যে কোনো স্নায়বিক সমস্যা দূর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হাসির অসাধারণ কিছু সুফল:

মনের চাপ কমায়

প্রাণখোলা হাসি মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কমিয়ে দেয়। আধুনিক জীবন হাজারো চিন্তায় নিমজ্জিত। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার প্রতিনিয়ত লড়াইয়ে মানুষের মনের ওপর চাপ ক্রমাগতই বাড়ছে। সংসার ও পেশাগত জীবনেও উদ্বেগের শেষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে মন ভাল রাখাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। চিকিৎসকেরা বলেন, হাসলে ‘স্ট্রেস হরমোন’ কর্টিসল ও এপিনেফ্রিনের ক্ষরণ কমে যায়। এর বদলে সুখী হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে মানসিক চাপ স্বাভাবিক নিয়মেই কমে যায়।

আরও পড়ুন: ফুসফুসের সমস্যায় আকুপ্রেশারের ভূমিকা

অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে

হাসি এক ধরনের ব্যায়াম, যা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোষ ও কলাগুলোতে সরবরাহ বাড়ে অক্সিজেনের। বিশেষ করে ফুসফুস ও হার্টে অক্সিজেন সরবরাহ বেশি হয়। ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক থাকলে শ্বাসের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। পাশাপাশি সংক্রমণজনিত অসুখবিসুখও দূরে থাকে। কমে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও।

ব্যথাবেদনা কমবে

গবেষণা বলছে, হাসলে এন্ডরফিনের ক্ষরণ বাড়ে, যা পেশির শক্তি বাড়াতে পারে। এন্ডরফিনের ক্ষরণ বাড়লে সহ্যক্ষমতা বাড়ে, গাঁটে গাঁটে ব্যথাবেদনা কমে, মানসিক চাপও কমে যায়।

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমবে

হাসলে হার্টে রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল সঠিক নিয়মে হবে। হৃদ্‌পেশিগুলোর ব্যায়ামও হবে। ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। রক্তচাপও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

ওজন কমায়

চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, রোজ আপনি যদি ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাসেন তাহলে ৪০ ক্যালোরি অবধি পুড়তে পারে। শারীরিক কসরতে পোড়ার তুলনায় এই ক্যালোরি কমার পরিমাণ হয়তো কম, কিন্তু অন্য উপকারগুলো পাওয়ার জন্য মুখে হাসি থাকা ভীষণ প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: প্রায় অর্ধেক তরুণ-তরুণী ইন্টারনেটবিহীন পৃথিবীকে বেছে নিতে চান

কীভাবে করবেন ১০ মিনিট হাসির অভ্যাস?

সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসুন। চাইলেই হাসা যায় না? জোরে হেসে ফেলুন, কাজ করবে। মজার ভিডিও, মজার বই বা কৌতুক পড়ুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাস্যরসাত্মক গল্প শেয়ার করুন, লাফটার বা হাসির ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। 


সর্বশেষ সংবাদ