দেশে করোনা রোগীদের ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:১৩ PM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:২৮ PM
গত একমাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্য হাসপাতালে ভর্তি কারো অমিক্রন শনাক্ত হয়নি। করোনাক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং এটি নিশ্চিত হয়। দেশে শনাক্ত হওয়া ২০ শতাংশ রোগীই বর্তমানে করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আর বাকি ৮০ শতাংশ রোগী করোনার অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টা বা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য এবং জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা: গবেষণা
সংগৃহীত ৯৬টি নমুনার মধ্যে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে অমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে। তবে এর কোনোটি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর নমুনা নয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। দুই ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন, এমন একাধিক ব্যক্তির অমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিএসএমএমইউ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এত তিনি জিনোম সিকোয়েন্সের মূল তথ্য উপস্থাপন করেন।
উপাচার্য বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের থেকে সংগৃহীত করোনার নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে শতভাগ রোগীর ক্ষেত্রে ডেলটা ধরন শনাক্ত হয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ওমিক্রনের জেনেটিক কোডে ডেল্টার চেয়ে বেশি ডিলিশন মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার বেশিরভাগেই ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিন রয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশিরভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। স্পাইক প্রোটিনের বদলের জন্য প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরেও ওমিক্রন সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে করোনায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে
প্রধান গবেষক ডা. লায়লা আনজুমান বানু বলেন, আমরা ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া ও ডাক্তার দেখাতে আসা রোগীদের কাছ থেকে স্যাম্পল নিয়ে গবেষণাটি করেছি। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের শতভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের রোগী। আর করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ২০ শতাংশ রোগীকে ওমিক্রনে আক্রান্ত হিসেবে পেয়েছি।
কেভিড-১৯-এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য করোনার জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন ও বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জিনোম ডাটাবেজ তৈরি করা।