করোনায় স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়ার ৫ উপায়
- মো. বিল্লাল হোসেন
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২০, ০৩:৫৯ PM , আপডেট: ২৬ মে ২০২০, ০৪:২৪ PM
করোনাভাইরাস পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ মানুষকে ঘরবন্দি করে রেখেছে অনেকদিন যাবত। করোনাকালীন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে মানুষের খাদ্যভাসে। বেশিরভাগ মানুষ প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর নির্ভর করছেন এই সময়ে। তাছাড়া খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় নিজেদের পছন্দমতো খাবারও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই আমরা আমাদের খাবারকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে নির্বাচন করতে পারি। তাহলে জেনে নেই কী কী উপায়ে আমরা স্বাস্থ্যকর খাদ্য নির্বাচন করতে পারি-
প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি রাখুন খাবার মেনুতে
লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে তাজা ফলমূল ও শাকসবজি পাওয়াটা বেশ দুরূহ ব্যাপার। তাই সুযোগমত পর্যাপ্ত পরিমান ফলমূল ও শাকসবজি কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন যাতে করে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি ও ফলমূল খুব সহজেই রাখতে পারেন। প্রায় সকল শাকসবজি ও ফলমূলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কভিড-১৯ থেকে বাঁচতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরী।
স্বাস্থ্যকর শুষ্ক অথবা ক্যানজাত খাবার নির্বাচন করুন
ফ্রেশ খাবার সবসময় উত্তম কিন্তু এটি পাওয়া না গেলে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্যান বা টিনজাত শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ পাওয়া যায় সেগুলো খাবার মেনুতে যুক্ত করার চেষ্টা করুন। যেমন ক্যানজাত মাছ থেকে আপনি অনায়াসেই ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
বাসায় পর্যাপ্ত পরিমানে স্বাস্থ্যকর নাস্তা সংরক্ষণ করুন
মিষ্টি অথবা লবণাক্ত নাস্তার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিভিন্ন খাবার যেমন বাদাম, দই, শুষ্ক ফলমূল, সিদ্ধ ডিম এবং বাড়িতে উৎপাদিত বিভিন্ন ফলমূল নাস্তার মেনুতে রাখুন। যা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস তৈরীতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন
রেডি টু ইট খাবার, প্যাকেটজাত স্নাকস, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন। কারণ এগুলোতে রয়েছে অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা গ্রহণ করা দেহের অনেকগুলো রোগের কারণ। এই খাবারগুলোর পরিবর্তে লেবুর শরবত, শসা বা ডাব খেতে পারেন।
রান্না ও খাওয়াকে আনন্দদায়ক করে তুলুন
পরিবারের সকলে মিলে রান্না ও খাওয়া পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের আন্তরিক সম্পর্ক তৈরী করে। রান্না ও খাওয়া তখন আর গৎবাধা কোনো কাজ থাকেন এটি হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক।
আসুন স্বাস্থ্যকর খাবার খাই, সুস্থ্য থাকি। কভিড-১৯ প্রতিরোধ করি আমরা নিজেরাই।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
ইমেইল: billalanftiu@gmail.com