৩১ মে’র মধ্যে দেশে ৫০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন

  © ফাইল ফটো

চীনের উহান থেকে ছড়ানো করোনা ভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনোর সংক্রমণ। প্রায় ছয় হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৫৫ জন।

বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, আগামী ৩১ মে’র মধ্যে দেশে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। মারা যেতে পারেন অন্তত ৮০০ থেকে এক হাজার মানুষ। গত ২১ এপ্রিল করোনা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং করণীয় বিষয়ে এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য উঠে আসে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিশেষজ্ঞদের এই ভবিষ্যদ্বাণী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাদের প্রক্ষেপণের প্রথমটি রক্ষণশীল। সে অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত ৪৮ থেকে ৫০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। আর মারা যেতে পারেন ৮০০ থেকে এক হাজার মানুষ। অবশ্য আরেকটি প্রক্ষেপণ বলছে, এই সংখ্যা হতে পারে প্রায় এক লাখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়। সভায় মহাপরিচালক বলেন, প্রক্ষেপণ বিবেচনায় নিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ রোগীর হাসপাতালে সেবা প্রয়োজন পড়ে। সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী সে আলোকে স্বাস্থ্য সেবার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় করোনার (কোভিড-১৯) বিস্তার বিষয়ে প্রক্ষেপণ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যে সব হাসপাতাল করোনার চিকিৎসায় ঠিক করা হয়েছে সেগুলোতেও চিকিৎসার সব সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ