সাধারণ নয়, বিরল উপসর্গ ছিল সুনামগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত নারীর

  © ফাইল ফটো

করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া সুনামগঞ্জের সেই নারীর মধ্যে করোনার সাধারণ উপসর্গ ছিল না।  সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় করোনার বিরল উপসর্গ ছিল তার।

মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনার সাধারণ উপসর্গ হাঁচি, কাশি বা জ্বর নয়, আক্রান্ত ওই নারীর ডায়রিয়া এবং ওরাল রুট ইনফেকশন এর মতো বিরল উপসর্গ ছিল।

তিনি বলেন, বিরল উপসর্গের কারণে গাইনি বিভাগের অন্য রোগীদের থেকে তাকে আলাদা রাখা হয়।সিজারিয়ান সেকশনেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে করা হয়। পরে অপারেশন থিয়েটার এবং গাইনী ওয়ার্ড ডিসইনফেক্ট করা হয়েছে।’

ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘করোনা সনাক্তের পর তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে এবং সন্তান সুস্থ আছে।’

 

তার সংস্পর্শে আসা দুই হাসপাতালের ৪৯ জন ডাক্তার, নার্স ও স্টাফ এবং পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার আদেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া মোট ১৩ জন ডাক্তার-নার্স এবং পরিবারের সদস্যেদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ওই নারীর স্বামী সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। তার মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট হাসপাতালে আনা হয় ওই নারীকে। ওইদিন সন্ধ্যায় তার সন্তান ডেলিভারি হয়। এর তিন দিনের মাথায় করোনায় পজিটিভি শনাক্ত হন তিনি।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন বলেন, ‘তার স্বামীসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদেরকে কোয়ারেন্টিন মেনে চলার আদেশ দেওয়া হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ