ভালো ইংরেজি জানায় বিদেশে ইন্ডিয়ানদের বেতন বাংলাদেশিদের ৩ গুন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।  © সংগৃহীত

ইন্ডিয়া থেকে গেছে ইংরেজি বলতে পারে, তার বেতন যা; আমাদের এখান থেকে গিয়ে একই কাজ করছে, একই জায়গায় কিন্তু ইংরেজি বলতে না পারার কারণে তার বেতন তিন ভাগের এক ভাগ। কারণ সে যায় কফিলের মাধ্যমে। তার জন্যও কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান তিন গুণ বেতন দিচ্ছে। কিন্তু দুই গুণ যায় কফিলের পকেটে। আগে থেকে চুক্তি আছে যে সে তাকে ১০০ টাকা দেবে। কাজেই সে ৩০০ টাকা পেলেও বাকি ২০০ টাকা তার নিজের পকেটে যাচ্ছে। আইনগতভাবে এখানে কোনো নিয়ম ভঙ্গ করছে না সে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিদেশে কাজ করছে স্রেফ প্লেট পরিষ্কার করার কিন্তু ইংরেজি যে বলতে পারে, তার বেতন তিন গুণ বেশি হয়।

ভাষাগত দক্ষতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, 'যে ছেলেটা আরবি বলতে পারে সে মিডিল ইস্টে গেলে তার বেতন দ্বিগুণ হয়ে যায়। ইংরেজি যে বলতে পারে তার বেতন তিন গুণ হয়। আপনারা ভাষা শেখান। জাপানিজ শেখান, কোরিয়ান শেখান। কোরিয়ানদেরও একই অবস্থা এবং ইনফ্যাক্ট আপনারা আরবিও শেখান।'

তিনি আরও বলেন, 'বিদেশে অন্যান্য দক্ষতার মধ্যে নার্সিং আছে। নার্সিং এবং ভাষা—এই দুইটার যদি কম্বিনেশন হয়, ইউরোপের যেকোনো দেশে চাকরি আছে। অসংখ্য পদ খালি তাদের। তারা তাদের হেলথ সিস্টেম ম্যানেজ করতে পারছে না নার্সের অভাবে। তবে নার্সিংটা অবশ্য হতে হবে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের।'

বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দুটো সেক্টরে আমাদের মেজর ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন। একটা হচ্ছে শিক্ষা, আরেকটা হচ্ছে স্বাস্থ্য। কারণ আমাদের হিউম্যান রিসোর্স (মানব সম্পদ) ছাড়া সত্যিকার অর্থে অন্য কোনো রিসোর্স নেই। হিউম্যান রিসোর্সের মূল বিষয় এই দুইটা জিনিস।'

বাজেট বরাদ্দ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'আমি সবসময় জিডিপির ৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতের জন্য আর ৫ শতাংশ শিক্ষাখাতের জন্য রাখার কথা বলি। এটা যদি আপনারা অ্যাচিভ করতে পারেন তাহলে আপনাদের বাকিগুলো করার দরকার নেই। রাস্তা ভাঙা থাকলেও কিন্তু চলবে। আমি বলি না যে রাস্তা ভাঙা থাকা উচিত। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই দুইটা খাত।'

মতবিনিময় সভায় রংপুর জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিসম্পদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।


সর্বশেষ সংবাদ