জানে আলম অপুর ‘অপহরণ-স্বীকারোক্তি আদায়’ ইস্যুতে যা বললেন আসিফ

জানে আলম অপু-আসিফ মাহমুদ
জানে আলম অপু-আসিফ মাহমুদ  © টিডিসি সম্পাদিত

রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনার রেশ যেন থামছেই না। গত ১ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারী থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জানে আলম অপুর একটি ভিডিও ১৩ আগস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে আসিফ মাহমুদকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী আনিশার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের আগে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন তাকে অপহরণ করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি আদায় করেছেন। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আনিশা আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি অপুকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বক্তব্য নিয়েছেন। তার পরিবারের দিক থেকে অভিযোগটি এসেছে। এটি যথেষ্ট রিলাইয়েবলও (বিশ্বাসযোগ্য)। এর সাথে আমার নাম জড়ানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রণোদিত। 

তিনি বলেন, খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি, অপুকে গুম করে জোরপূর্বক স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে কিনা। আগে আমাদের এখানে আয়নাঘর ছিল, আমরা সেই সংস্কৃতির দিকে যাচ্ছি কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।

ওয়েস্টিনের সামনে বাইক নিয়ে গিয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, বেশির ভাগ সময় আমি রাতে নীলা মার্কেটে যাই, সিসিটিভিতে হেলমেট পরা অবস্থায় কাউকে যদি আমার সঙ্গে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়া হওয়া হয়, সেটা দুঃখজনক। তবে স্পেসিফিক ওইদিন ওই এলাকায় গিয়েছেন কিনা, সেটা মনে নেই বলে জানান আসিফ।

এর আগে অপুর স্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ইশরাকের লোকজন অপুকে তুলে নিয়ে রাতে ভিডিও ধারণ করে। তার কাছ থেকে বারবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলাম নাম শুনতে চাওয়া হয়। পরদিন সকালে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অপু গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহবায়ক। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে ধারণ করা অপুর একটি ভিডিও বার্তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৩৫ মিনিটের ভিডিওতে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টাকেও এতে জড়িত থাকার অভিযোগ করতে দেখা যায়। 

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। অপুর আগে গত ২৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. আমিনুল ইসলাম, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।


সর্বশেষ সংবাদ