জনপ্রশাসন-সংক্রান্ত ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৩:৩৯ PM , আপডেট: ২০ জুন ২০২৫, ০৮:২১ PM
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে শুক্রবার (২০ জুন) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
সভায় জানানো হয়, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রধান ছয়টি কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে যেসব সংস্কার কমিশন গঠন করে, সেসব কমিশন সরকারের কাছে সংস্কার প্রস্তাব দাখিল করেছে। এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সংবিধান সংশ্লিষ্ট ও বড় সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে। তবে, যেসব সংস্কার প্রস্তাব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় নিজ উদ্যোগেই বাস্তবায়ন করতে পারে, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য মোট ১২১টি প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৯টি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৩৮টি, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের ৪৩টি, পুলিশ সংস্কার কমিশনের ১৩টি এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি সংস্কার প্রস্তাব আশু বাস্তবায়নযোগ্য হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।
এই ১৮টি প্রস্তাবের মধ্যে আটটি অপেক্ষাকৃত সহজে বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এগুলো হলো: (১) মহাসড়কের পেট্রোলপাম্পগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সংক্রান্ত, (২) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটকে ডায়নামিক করা, (৩) কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন, (৪) কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনা, (৫) গণশুনানি, (৬) তথ্য অধিকার আইন, (৭) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পুনর্গঠন এবং (৮) ডিজিটাল রূপান্তর এবং ই-সেবা।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ নিজস্ব বাস্তবায়ন টিম গঠন করবে এবং সময়াবদ্ধ কার্যক্রম গ্রহণ করবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিবের তত্ত্বাবধানে গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ)-এর আওতায় একটি তদারকি টিম থাকবে, যা মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়াও, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও এই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন তদারকি করবে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমও এগিয়ে নিতে নিয়মিত এই ধরনের সভা আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।