শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি শিখন ঘাটতি গণিতে

শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছে
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছে  © ফাইল ছবি

দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে নেশি শিখন ঘাটতি রয়েছে গণিতে। আর সবচেয়ে কম বাংলায়। ২০২১ সালে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বেডু) এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছেম শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের এই জরিপ করিয়েছে।

গবেষণার তথ্য বলছে, বাংলায় ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যম মাত্রায় ও ২৪ শতাংশের উচ্চমাত্রায় শিখন ঘাটতি রয়েছে। বাংলায় স্বল্পমাত্রায় শিখন ঘাটতি থাকা শিক্ষার্থী ২৫ শতাংশ। ইংরেজিতে মধ্যম মাত্রায় শিখন ঘাটতি থাকা শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৮ শতাংশ, উচ্চমাত্রায় ১৮ শতাংশ এবং স্বল্পমাত্রায় শিখন ঘাটতি রয়েছে ২০ শতাংশ। গণিতে মধ্যম মাত্রায় শিখন ঘাটতি রয়েছে ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর, উচ্চমাত্রার ক্ষেত্রে তা ৩৯ শতাংশ এবং স্বল্পমাত্রার ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ।

শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের পরামর্শে বেডু বলছে, বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের ঘাটতি পূরণে কেন্দ্রীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে টেলিভিশনে ক্লাস সম্প্রচার, অনলাইন ক্লাস নিতে হবে। পাশাপাশি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ক্লাসগুলো আপলোড করতে হবে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম তারিক আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রছাত্রীদের শিখন ঘাটতি পূরণে  এমনভাবে শিখনঘণ্টা ব্যবস্থাপনা করতে হবে, যাতে মুখোমুখি শ্রেণি শিখনের বাইরেও বাড়ি বা এলাকাভিত্তিক শিখনচর্চা করা যায়। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাক্রম বা পেডাগজিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গি, যার মাধ্যমে মূল যোগ্যতাগুলোর ভিত্তিতে বিষয় গুচ্ছ করে শিখনের চর্চা করা। এই দুটি ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারলে দ্রুত শিখন ঘাটতি পূরণ করা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence