বাংলাদেশের সামনে বিশ্বকাপ ফুটবল-অলিম্পিকে খেলার হাতছানি
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৬ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫১ PM

প্রথমবারের মত নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছ বাংলাদেশ দল। বাছাইপর্বে ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে মূল পর্বে পা রেখেছে বাংলাদেশ।
২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বটি ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্ব হিসেবেও বিবেচিত হবে, যা কিনা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের খেলার সুবর্ণ এক সুযোগ।
১৯৭৫ সালে শুরু হয়েছিল নারী এশিয়ান কাপ। ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২০টি আসরে ২২টি দল খেলেছে। এবার ২৩তম দল হিসেবে বাংলাদেশ সুযোগ পেয়েছে। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্স-আপ দক্ষিণ কোরিয়া এবং তৃতীয়স্থান অধিকারী জাপানসহ মোট পাঁচটি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে বাকি ৭টি দল আসবে।
আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরের পাঁচটি ভেন্যুতে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট। যেখানে চারটি করে দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। যেখান থেকে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দল এবং তৃতীয় হওয়া সেরা দুটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠবে। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মাঠে গড়াবে।
এদিকে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে। আসন্ন বৈশ্বিক ওই আসরে এশিয়া থেকে সরাসরি ৬ দল বিশ্বকাপে খেলবে। আর আন্ত-মহাদেশীয় প্লে-অফ জিতে আরও দুটি দল সুযোগ পাবে। এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে খেলা ৪ দল সরাসরিই বিশ্বকাপে খেলবে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদপড়া ৪ দল দুটি করে প্লে-অফ ম্যাচ খেলবে। ওই ম্যাচে জিতলে বিশ্বকাপে জায়গা মিলবে আর আন্ত-মহাদেশীয় প্লে-অফে খেলবে পরাজিত দল দুটি।
২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ অলিম্পিকের বাছাইপর্ব হিসেবেও কাজ করবে। কোনোভাবে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোনো গেলেই ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকের বাছাইপর্ব খেলার সুযোগ মিলবে। সেই বাছাইপর্বে দলগুলো দুই গ্রুপে ভাগ খেলবে। লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের নারী ফুটবলে সুযোগ পাবে দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। নিশ্চয়ই সে সুযোগটা লুফে নিতে চাইবেন আফইদা-ঋতুপর্ণারা!