বৃহত্তর মাঝিরকাটা উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে পঞ্চমুখ এলাকাবাসী
- তাওসিফুল ইসলাম
- প্রকাশ: ২৯ মে ২০২০, ১২:০৪ PM , আপডেট: ২৯ মে ২০২০, ১২:০৪ PM
কোভিড-১৯ এর কবলে পড়ে পুরো পৃথিবী স্তব্ধতায় মেতে উঠেছে। এই মহামারীর সময়ে তরুণ সমাজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসছে শুরু থেকেই। বাংলাদেশেও তার হেরফের নেই।
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের তরুণরা গড়ে তুলেছে ‘‘বৃহত্তর মাঝিরকাটা উন্নয়ন ফোরাম’’ নামের এক সামাজিক সংগঠন। করোনা মহামারীর শুরু থেকেই কাজ করে সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং অগ্রগামিতায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন অনেক।
শুরুতে অসচ্ছল ১৩২টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণে ছিল, পাঁচ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি চিনি এবং ২ কেজি ছোলা।
এই উদ্যোগের পরপরই কমিটি গঠন করেন তারা। এর পরবর্তী উদ্যোগ হিসেবে ঈদের আগের দিন মাঝিরকাটার সকল মসজিদ স্যানিটাইজার এবং ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করেন তারা। জানা যায়, কাজ করার সময় তারা বিভিন্ন ইউনিটে বিভক্ত হয়ে কাজ করেন।
শুক্রবার (২৯ মে) বৃহত্তর মাঝিরকাটার সকল কবরস্থান পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। ফজর নামাজের পরপরই কাজ শুরু করেন। এই পরিষ্কার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এ কে এম শাহজালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুল ইসলাম লিটনসহ সংগঠনের সকল সদস্যরা। এছাড়াও এলাকার রাস্তার পাশে প্রায় ২ হাজার চারা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা আসলে অতি মহৎ কোন কাজ করছিনা। তরুণ সমাজের দায়িত্ব সমাজের পাশে দাঁড়ানো। সেই দায়িত্ব পালন করেছি শুধু। সৃষ্টির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সব উন্নয়নমূলক কাজে তরুণ সমাজ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরাও সেই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করেছি। সংগঠনের সবাই সমাজের স্বার্থের কথা ভেবে নিজ উদ্যোগে কাজে নেমেছে। আমি সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও তিনি সারাদেশের সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে বলেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা সংগঠকরা কাজ করছি দেখে এলাকার সবাই আমাদের সাহায্য করেছেন। আর্থিক এবং শারীরিকভাবে দুভাবেই আমরা তাদের সাহায্য পেয়েছি। সংগঠনের সদস্যদের তৎপরতায় এতদূর এগিয়ে এসেছি। আমরা সামনে এলাকার রাস্তাগুলোর পাশে চারা লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছি।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, এভাবে কাজ করলে এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। এছাড়াও যারা অসচ্ছল আছেন তাদেরও দারিদ্র জনিত সমস্যা অনেকটা কমে আসবে। এলাকাবাসী সংগঠকদের ধন্যবাদ জানান।