ভাড়া বাড়ি খুঁজছে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে আলোচিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাড়ি ভাড়া চেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত বৃহস্পতিবার অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাড়ি ভাড়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আবদুল হাই স্বাক্ষরিত বিজ্ঞাপনে বলা হয়, চাঁচাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য চাঁদপুর শহরে কিংবা শহরের উপকন্ঠে আগামী ০১ অক্টোবর হতে ৫ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের ভবন ভাড়া প্রয়োজন। ভবন ভাড়া প্রদানে আগ্রহী মালিকদের আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাড়ির বিস্তারিত বর্ণনা ও ভাড়ার পরিমান উল্লেখপূর্বক নিম্নোক্ত ঠিকানায় সরাসরি কিংবা ডাকযোগে আবেদনপত্র বিকাল ৩ টার মধ্যে পৌঁছাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো আবদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।

আবেদনপত্রের সঙ্গে হোল্ডিং ট্যাক্স সার্টিফিকেট, ভবন মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, বিদ্যুৎ বিলের কপি এবং ভবনের আয়তনের স্বপক্ষে প্রকৌশলীর প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে ইবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

জানা গেছে, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাবিপ্রবি) জমি অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মৌজায় জমি কেনাবেচা করেন মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয় ও তার ঘনিষ্ঠরা। তার বড় ভাই ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ ছয়টি দলিলে ৯৯ শতাংশ জমি কেনেন। তার মামাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম এক একর ৬১ শতাংশ ও লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানও সেখানে কয়েক একর জমি কেনেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৬২ একর জমি কেনার দরপত্র দেওয়া হয়। ওই মৌজায় জমির দাম ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা শতাংশ হলেও অধিগ্রহণে দাম ধরা হয় ২ লাখ ৮১ হাজার টাকা করে। 

এভাবে বিভিন্ন শ্রেণির জমির অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এতে জমির মোট দাম আসে ৫৫৩ কোটি টাকা। কিন্তু ওই জমির প্রকৃত মূল্য ১৯৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাস্তবতা থেকে অন্তত ৩৫৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত লোপাটের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তাতে সম্মতি দেননি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস।

অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান তিনি। সেই চিঠিতে জমি অধিগ্রহণে অনিয়মের কথা আছে বলে স্বীকার করেন ভূমিমন্ত্রী ও সচিব। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আদালতে মামলা করা হয়।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জায়গার মালিক লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের রিটের বিষয়ে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছে, তা বহাল রেখেছে। আদেশে জমি অধিগ্রহণের জন্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে ১৯৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence