১২ দফা দাবি পবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২২, ০৭:৪৭ PM
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত বৈষম্যে দূরীকরণ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা করাসহ ১২ দফা দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রবিবার (১৯ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান টমাস, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বাদল, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান মৃধা, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সাইদুর রহমান জুয়েল, ড. শফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম টিটু, আবুবকর সিদ্দিক, সহকারী রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান, সেকশন অফিসার রিয়াজ কাঞ্চন শহিদ প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে ১২ দফা দাবি মেনে নেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন চেয়ারম্যানের নিকট ইতিমধ্যে প্রদানকৃত স্মারকলিপি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
তাদের দাবিগুলো হল-
ক) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের পদন্নতির কোন ব্যবস্থা বা সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় সকল পদে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি জীবনে চারবার পদোন্নয়ন সুবিধা প্রদান।
খ) প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেড, ৯ম গ্রেড, ৬ষ্ঠ গ্রেড, পঞ্চম গ্রেড চতুর্থ গ্রেড, তৃতীয় গ্রেড দ্বিতীয় গ্রেড প্রদান।
আরও পড়ুন: রাত ৮টার পর খোলা রাখা যাবে যেসব প্রতিষ্ঠান
গ) শর্ত পূরণের পর দিন হতে পদোন্নয়ন কার্যকর করা, ৩য় গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নয়ন সুবিধা প্রদান।
ঘ) কর্মকর্তাদের অবসর গ্রহণের সময়সীমা ৬৫ বছরের উন্নতিকরণ।
ঙ) সকল দপ্তর প্রধানসহ non-teaching পদে কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ করা।
চ) কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটিতে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করা।
ছ) শিক্ষা ছুটির মেয়াদ এবং সক্রিয় চাকরিকাল গননা সংক্রান্ত বিষয় নির্দেশিকায় উল্লেখ করা।
জ) বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাগণ বর্তমানে যে পদে কর্মরত আছেন ঐ পদের পরবর্তী পদে নিয়োগ এবং পদোন্নয়নের ক্ষেত্রে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করার সুযোগ রাখা।
ঝ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তাগণের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিথিল করা।
ঞ) ২য় গ্রেডধারী কর্মকর্তাগণের মোট চাকুরিকাল ন্যূনতম ২২ বছর এবং ২য় গ্রেডের সর্বশেষ সীমায় পৌঁছানোর তিন বছর পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মোট ২য় গ্রেডধারী কর্মকর্তার ২৫% কর্মকর্তাকে ১ম গ্রেড প্রদান।
ট) রেজিস্টার, পরিচালক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, লাইব্রেরিয়ানসহ সকল পদের জন্য প্রাধিকার অনুযায়ী সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
ঠ) সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়ে উদ্ভূত জটিলতা এড়ানোর স্বার্থে ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সভা আয়োজন এবং খসড়া প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ।