আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে প্রস্তুত হুয়াওয়ে-বুয়েট
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৯ PM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৯ PM
তরুণ শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদানের পাশাপাশি আইসিটি ট্যালেন্ট ও ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে যৌথভাবে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার বুয়েট কাউন্সিল ভবনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আরও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং ও বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
জানা যায়, অলাভজনক শিক্ষাকার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এ আইসিটি একাডেমিতে শিল্পখাতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা প্রদান করা হবে। এই একাডেমির আরেকটি প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আইসিটি খাতের জন্য একটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। এতে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বের ৩ হাজারের বেশি প্রশিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পাবেন।
বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী একাডেমিতে ভিন্ন ভিন্ন ১৯টি বিষয়ে ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম থাকবে। কোর্স এবং সার্টিফিকেশন কো-অর্ডিনেট করবে হুয়াওয়ে অথরাইজড ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি (এইচএআইএনএ)। কোর্স শেষে, শিক্ষার্থীদের এই আইসিটি একাডেমি থেকে তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে অ্যাসোসিয়েট, প্রফেশনাল ও এক্সপার্ট– তিন ধরনের গ্রেড সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি একাডেমি দারুণভাবে কাজ করতে পারে; যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের জন্য উপকারী হবে। হুয়াওয়ে এবং বুয়েট যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিল তার অধীনে স্বল্প সময়ের মধ্যেই তারা এই একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে। বুয়েটে এই একাডেমি স্থাপনের জন্য হুয়াওয়ের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
ভিসি অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আইসিটি একাডেমি স্থাপনে হুয়াওয়ের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই একাডেমিটি বুয়েটের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে; একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবেন। পাশাপাশি তারা ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে বিভিন্ন তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক ধারণাও পাবেন।
সিইও প্যান জুনফেং বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। বাংলাদেশেও এই প্রকল্প সম্প্রসারিত করতে পেরে হুয়াওয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি ‘বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য’ কাজ করে যাবে।
বুয়েট প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন বলেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইন্ডাস্ট্রির জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে বুয়েট সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। হুয়াওয়ের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে আইসিটি একাডেমি স্থাপন এ বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
বুয়েট আইআইসিটির পরিচালক অধ্যাপক ড. রুবাইয়াত হোসাইন মন্ডল বলেন, আইসিটি খাতের নতুন উদ্ভাবনগুলো টেকসই প্রবৃদ্ধি, অর্থনীতি, প্রোডাক্টিভিটি ও চাকরির বাজারের রূপান্তরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এই আইসিটি একাডেমি অ্যাকাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মাঝে সেতুবন্ধনকে আরও জোরদার করবে।