কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু
ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৫৯ AM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:১৯ AM
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের শোকজের জবাব পর্যালোচনা করা হবে। তার ওপর ভিত্তি করে সুপারিশ করবে কমিটি। আগামীকাল সিন্ডিকেট সভায় সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে, অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকজ করা হয়েছিলো ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মীকে। তাদের ৩ জানুয়ারি বিকালের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবাই শোকজের জবাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন- বহিষ্কার হতে পারেন ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মী, সিদ্ধান্ত আসছে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও ছাত্রদের শোকজের জবাব পর্যালোচনা করা হবে। পরে ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় নির্ধারণ হবে শোকজ করা ৪৪ ছাত্রের ভাগ্য।
এ ছাড়া ওই সভার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে শিক্ষক সমিতি এবং ওই শিক্ষকের পরিবার। কুয়েট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হলে ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকরা। ৬ জানুয়ারি সভা করে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষক সমিতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, গত ২৮ ডিসেম্বর তারা উপাচার্যের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে কুয়েটের লালন শাহ হলে নিজেদের পছন্দের ডাইনিং ম্যানেজার নিযুক্ত করতে ড. সেলিমের ওপর ছাত্রদের চাপ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ৪৪ শিক্ষার্থী যে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তদন্তে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
‘‘প্রতিবেদনে ওই ঘটনায় পর্যবেক্ষণসহ ৯টি সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটি যেসব সুপারিশ করেছে, সেখানে ছাত্র রাজনীতি একেবারে বন্ধ করার কথা বলা হয়নি। তবে কিছুদিনের জন্য ক্যাম্পাসে ছাত্রদের রাজনীতি স্থগিত এবং ৪৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন- কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৪৪ জনকে শোকজ
এর আগে, কুয়েটের ৭৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ইসমাঈল সাইফুল্লাহ জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৯ ডিসেম্বর ৪৪ জন ছাত্রকে শোকজ করা হয়েছিল। তাদের ৩ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়েই তারা লিখিত জবাব দিয়েছে।
তিনি জানান, ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্তদের শোকজের জবাব পর্যালোচনা করে পরবর্তী সুপারিশ করা হবে। এরপর বুধবার কুয়েট সিন্ডিকেটের সভায় তা উত্থাপন করা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ বিষয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের জানাবেন। পরে শিক্ষক সমিতির পদক্ষেপ নির্ধারণে আগামী ৬ জানুয়ারি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় শিক্ষকরা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।